গত
কয়েক বছরে বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ মাত্রায়
গিয়ে পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু ভাইরাসকে প্রতিহত করতে পারে এমন কোন
ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তবে অচিরেই সে রকম ওষুধ তৈরী করা সম্ভব হ’তে পারে, যা
শুধু ডেঙ্গু নয়, এমন বহু ভাইরাসকে আক্ষরিক অর্থেই নখদন্তহীন করে দেবে। এমন
একটি পথেরই সন্ধান দিয়েছেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী হেমায়েতুল্লাহ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হেমায়েতুল্লাহ বর্তমানে আমেরিকার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। সেখানেই একটি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখা পান এমন এক পথের, যা শুধু ডেঙ্গু নয়, অনেক ভাইরাসজনিত রোগের ওষুধ তৈরির দিশা দিচ্ছে।
তাঁর আবিষ্কৃত এ নতুন পথ এরই মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি এ সম্পর্কিত গবেষণা নিবন্ধটি অঙ্কোটার্গেট জার্নালের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন হিসাবে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পর থেকে বিভিন্ন গবেষণা পত্রিকায় বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে উঠে এসেছে।
হেমায়েতুল্লাহ ও তাঁর দলের এ গবেষণালব্ধ ফলাফলকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট ও প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা অ্যান্থনি কি উথের ভাষায়, ড. হেমায়েত ও তাঁর দল ভাইরাসরোধী ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রগতি নিয়ে এসেছেন। বহু রোগের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি কাজে লাগবে বলে আমরা আশা করছি।
নিজের গবেষণা নিয়ে বেশ আশাবাদী হেমায়েতুল্লাহ। তাঁর মতে, এ পদ্ধতির প্রয়োগে একটি কার্যকর ওষুধ তৈরি সম্ভব হ’লে তা শুধু একটি ভাইরাস নয়, বরং অনেক ভাইরাসকেই প্রতিহত করতে পারবে। এখনো এটি প্রাথমিক ধাপে রয়েছে। কোন প্রাণীর দেহে প্রয়োগের পরই এর কার্যকারিতা ভালোভাবে বোঝা যাবে।
[আমরা বাংলাদেশী এই বিজ্ঞানীর দ্রুত সাফল্য কামনা করি। সেই সাথে তাকে পূর্ণ সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানাই (স.স.)]