মাসিকের
সময়ে মালিকের নানা গঞ্জনা শুনতে হয়, বেতন কাটা যায়, জরিমানা করা হয়। তাই
পেটের দায়ে, অভাবের তাড়নায় অপারেশন করে জরায়ু ফেলে দিচ্ছেন ভারতের হাযার
হাযার দরিদ্র নারী শ্রমিক। তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ২০ থেকে ২২ এর মধ্যে।
তাদের অনেকেই দুই বা ততোধিক সন্তানের মা। এর ফলে কিছু গ্রাম এখন জরায়ুহীন
নারীদের গ্রাম হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছে। যারা এই অপারেশন করিয়ে নিচ্ছেন,
তারা কৃষি শ্রমিক। ক্ষেত থেকে আখ কাটেন। মহারাষ্ট্র ভারতে আখের উর্বর
ক্ষেত্র। বছরে ৬ মাস এসব আখ খেতে কাজ করতে আসেন হাযার হাযার শ্রমিক। এই
নারী-পুরুষরা একটানা ছয় মাস আখ কাটার কাজ করেন। এ ছাড়া তামিলনাড়ু রাজ্যে
গার্মেন্টস কারখানায় অনেক মেয়ে কাজ করে। পিরিয়ডের সময় কাহিল লাগে অনেকের,
অনেকের পেইন হয়, সে ক্ষেত্রে তাদের যেখানে এক বা দু’দিন ছুটি দেয়া উচিত, তা
দূরে থাক, উল্টো ব্যথা কমানোর জন্য নাম না জানা ওষুধ খেতে দেয়। ফলে তারা
জরায়ু কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
[কি মর্মান্তিক এই খবর! ২০-২২ বছরের মেয়েরা যখন স্বামী ও সংসার নিয়ে গৃহবধূ হিসাবে ‘ঘরের শান্তি’ হিসাবে জীবন কাটাবে, তখন তাদেরকে পেটের দায়ে যেতে হচ্ছে আখের ক্ষেতে আখ কাটার মত কঠিন শ্রমের কাজে। এরপরেও কেমন চরম অবস্থায় পতিত হ’লে তারা নিজেদের জরায়ু কাটতে বাধ্য হচ্ছে, যা ভাবতেও গা শিউরে ওঠে। হায় গণতন্ত্র! বিগত যুগের ভারতে কখনোই মেয়েদেরকে এমন করুণ অবস্থায় পড়তে হয়েছে বলে জানা যায় না। এর জন্য সেদেশের সমাজ ও রাজনৈতিক নেতারাই দায়ী। আল্লাহ তুমি এসব মযলুম মেয়েদের রক্ষা কর -আমীন! (স. স.) ]