
বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে সিরিয়ায় জোরেশোরে সামরিক তৎপরতা শুরু করেছে দখলদার ইস্রাঈলী বাহিনী। দেশটির ১২ মাইল ভেতরে ঢুকে পড়েছে বর্বর সেনারা। বাড়িয়েছে হামলাও। শুধু বিমান হামলাই নয়, একের পর এক ভূখন্ড দখলের দিকেও মনোনিবেশ করছে তারা। ইতিমধ্যে দেশটির বেশকিছু এলাকা দখলেও নিয়েছে। কমপক্ষে নয়টি সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে। এছাড়া সড়ক এবং অন্যান্য যোগাযোগ অবকাঠামোর সম্প্রসারণও করেছে।
সিরিয়ান-ইস্রাঈলী বাফার জোনের কুনেইত্রা শহরের কাছের ছোট একটি গ্রাম রাসম আল-রাওয়াদি। গত চার মাস ধরে গ্রামটি ইস্রাঈল নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেছেন, ইস্রাঈল অনির্দিষ্টকালের জন্য সিরিয়ায় থাকতে প্রস্ত্তত। ইস্রাঈল তার দখলদারিত্বকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য আরেকটি কৌশল ব্যবহার করছে তাহ’ল দক্ষিণ সিরিয়ার দ্রুজের (দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সংখ্যালঘু) সমর্থন দাবী করা। ইস্রাঈল দ্রুজের আনুগত্যের ওপর নির্ভর করে স্থায়ীভাবে তাদের উপস্থিতিকে দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করেছে।
[কেবল সিরিয়া নয়, লেবানন, জর্ডান, মিসর ও সউদীআরব সহ পুরা মধ্যপ্রাচ্যকে তারা তাদের ‘ঈশ্বর প্রদত্ত পবিত্র ভূমি’ বলে দাবী করে। অতএব তারা এভাবে এগোতেই থাকবে। বিপরীতে মুসলিম দেশগুলির সচেতন ও সীসাঢালা ঐক্য দ্রুত যরূরী। আমরা মধ্যপ্রাচ্যের ২২টি মুসলিম দেশের প্রতি দ্রুত ঐক্যবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও কর্মসূচী গ্রহণের আহবান জানাই (স.স.)]।