সঊদী বাদশাহ আব্দুল্লাহর মৃত্যু, নতুন বাদশাহ সালমান 

মুসলিম বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হারামাইন শারীফাইনের সম্মানিত খাদেম সউদী আরবের বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আযীয আলে সঊদ গত ২২শে জানুয়ারী শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৯০ বছর। নিউমোনিয়াজনিত সমস্যায় তিনি ডিসেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। নলের মাধ্যমে তার শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁর ইন্তেকালে সউদী আরবে সরকারীভাবে কোন শোক দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়নি, জাতীয় পতাকাও অর্ধনমিত রাখা হয়নি। হয়নি কোন শোক র‌্যালি বা আসেনি কোন ছুটির ঘোষণা। বরং রিয়াদের প্রিন্স তুর্কি বিন আব্দুল আযীয মসজিদে অতি সাধাসিধাভাবে জানাযা শেষে তাকে আল-আঊদ গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে এবং রীতি অনুযায়ী কবরের কোন চিহ্ন বা ফলক রাখা হয়নি।

পূর্ব নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী বাদশাহ আব্দুল্লাহর বৈমাত্রেয় ভাই যুবরাজ সালমান বিন আবদুল আযীয আলে সঊদ (৭৯) নতুন বাদশাহ হয়েছেন। একইভাবে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মুকরিন বিন আব্দুল আযীয যুবরাজ হয়েছেন। এছাড়া বাদশাহ সালমান নতুন ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হিসাবে মুহাম্মাদ বিন নায়েফ (৫৫)-কে মনোনীত করেছেন। বর্তমান যুবরাজ মুকরিন বাদশাহ আব্দুল আযীযের শেষ সন্তান হওয়ায় পরবর্তীদের মধ্যে ‘ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স’ নিয়োগে যাতে কোন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি না হয়, তার ব্যবস্থা বাদশাহ আব্দুল্লাহ আগেই করে গিয়েছিলেন। তিনি পরিবারের তৃতীয় স্তরের সদস্যদের মধ্য থেকে বাদশাহর দায়িত্বদানের জন্য ৩৫ সদস্যের একটি ‘এলিজিয়েন্স কাউন্সিল’ গঠন করেন। যার মাধ্যমে নতুন ডেপুটি যুবরাজ নির্বাচন করা হ’ল। আর এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাদশাহ আব্দুল আযীযের পৌত্রদের উত্তরাধিকারী হওয়ার ক্ষেত্রে মুহাম্মাদই প্রথম মনোনীত হলেন।

দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন বাদশাহ জনগণের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রথম ভাষণে দেশের নীতিতে কোন পরিবর্তন না আনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যের আহবান জানান।

সংক্ষিপ্ত জীবনী : ১৯৩৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর জন্ম নেন বাদশাহ সালমান। তিনি সঊদী আরবের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আযীয বিন সঊদের ২৫তম সন্তান। ১৯৫৪ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে রিয়াদ প্রদেশের গভর্নর হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ৫৪ বছর যাবৎ এ দায়িত্বে থাকেন। তাঁকে রিয়াদের উন্নয়নের স্থপতি হিসাবে গণ্য করা হয়। ২০১১ সালে ভাই প্রিন্স সুলতানের মৃত্যুর পর তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন। ২০১২ সালে রাজপ্রাসাদে তার আগের উত্তরসূরী প্রিন্স নায়েফের মৃত্যুর পর তাকে পরবর্তী বাদশাহ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। আবদুল্লাহর মতো সালমানকেও একজন মধ্যপন্থী শাসক বলা হয়ে থাকে। তিনি আল-সঊদ পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর অন্যতম মধ্যস্থতাকারী। একই সাথে তিনি নাগরিক চাহিদার দিকে নযর রাখেন। তিনি একই সঙ্গে ধার্মিক, রক্ষণশীল এবং তুলনামূলক বহির্মুখী ব্যক্তিত্বের অধিকারী বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত।

সততা, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, ন্যায়পরায়ণতা, কঠোর পরিশ্রম ও নিয়মানুবর্তিতার ব্যাপারে তার সুখ্যাতি রয়েছে। রাজপরিবারের অনেক তরুণ প্রিন্সকে সালমান শাস্তি দিয়েছেন। এ কারণে সবাই তাকে শ্রদ্ধা ও ভয় করেন। একজন কূটনীতিক জানিয়েছেন, বয়সের ভার সত্ত্বেও তিনি খুবই কর্মক্ষম। প্রতিদিন সকাল ৭টায় নিয়ম করে অফিসে যান। এমনকি সপ্তাহে তিনটি আদালতও বসান।






অতিক্ষুদ্র করোনা ভাইরাসের বিশাল শক্তি দেখে ইসলাম গ্রহণ করলেন অস্ট্রিয়ার রেসলিং তারকা
মুসলিম জাহান
গাযার পর সিরিয়া দখলে নেমেছে ইস্রাঈল
গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা মুসলিম পরিবারে গ্রহণযোগ্য নয় - -এরদোগান
মসজিদে হারামে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ছাতা স্থাপিত হয়েছে
জেলখানাতেই কুরআন হেফয করল ৬০৫ বন্দী
তুরস্কে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি ১০ লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে
এক সঙ্গে ৯ সন্তান দেড় বছরের বেশী সময় জীবিত থাকার বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী মরক্কোর হালীমা
মসজিদে নববীর জ্যেষ্ঠ ইমাম শায়খ আইয়ূবের মৃত্যু
নিগৃহীত উইঘুর মুসলমানদের জন্য তুরস্কের দরজা খোলা
নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন পাকিস্তানের ড. আমজাদ ছাকিব
মক্কায় তৈরী হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হোটেল
আরও
আরও
.