পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির দু’টি গ্রামে মুসলিম আদিবাসীদের ওপর সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনীর হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ শাহাদত বরণ করেছেন অন্তত ১৩৪ জন। আহত হয়েছেন আরো বেশ কিছু সাধারণ নাগরিক। হামলাকারীদের মূল টার্গেট ছিল ইসলাম ধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র আদিবাসী ফুলানি সম্প্রদায়ের মানুষ। উদ্ধার কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যের বরাতে করা প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৩শে মার্চ শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪-টার দিকে ওগোসাগো শহরের ওয়েলিংগারা গ্রামে বসবাসরত ফুলানি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে আচমকা এই হামলাটি চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দারা তখন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল বলে একসঙ্গে এত লোকের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে ওগোসাগো শহরের মেয়র এ হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও জিহাদীদের মধ্যে চলমান সহিংসতার মধ্যে শনিবারের হামলাটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি’। তিনি আরো জানান, ‘ঐতিহ্যবাহী ডোনজুদের ছদ্মবেশে বন্দুকধারীরা এই হামলা চালায়। হামলায় ফুলানি সম্প্রদায়ের প্রধান ও তার পরিবারের সকল সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, দরিদ্র ফুলানি সম্প্রদায়ের মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম হ’ল পশু পালন। এ সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ মানুষই রাখাল। এমন সময়ে তাদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটলো যখন ক্রমবর্ধমান জাতিগত বিদ্বেষ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে দেশটিতে অবস্থান করছিলেন জাতিসংঘের একাধিক দূত। এ হামলাকে গণহত্যা হিসাবে অভিহিত করেছেন প্রতিবেশী গ্রাম ওউঙ্কোরোর মেয়র চিক হারাউনা সানকার।

[আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং নিহত মুসলিমদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। দ্রুত দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানাচ্ছি (স.স.)] 






আরও
আরও
.