বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে শেষ নবী ও রাসূল হিসাবে অস্বীকারকারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের পঞ্চগড় আহমদনগরে ২২, ২৩ ও ২৪শে ফেব্রুয়ারীতে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী জাতীয় ইজতেমার নামে ঈমান বিধ্বংসী কার্যক্রম বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। তিনি বলেন, ইহূদী-খ্রিস্টান চক্রের লালিত-পালিত মিথ্যা নবুওয়াতের দাবিদার মির্যা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী প্রতিষ্ঠিত আহমাদিয়া সম্প্রদায়কে মুসলিম উম্মাহ ‘কাফির’ হিসাবে গণ্য করেন। এ যাবত পৃথিবীর অন্তত ৪০টি মুসলিম দেশে এদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালে ‘রাবেতা আলমে ইসলামী’র উদ্যোগে মক্কায় অনুষ্ঠিত ১৪৪টি রাষ্ট্র ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ১৯৮৮ সালে ইরাকে অনুষ্ঠিত ‘ওআইসি’ শীর্ষ সম্মেলনে এদেরকে ‘কাফির’ ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশে ১৯৮৫ সালে এবং ১৯৯৩ সালে সুপ্রীম কোর্টের দু’টি মামলার রায়ে এদেরকে ‘অমুসলিম’ হিসাবে গণ্য করা হয়। ১৯৯৭ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারীতে ঢাকার সোবহানবাগ মসজিদে অনুষ্ঠিত বিরাট মুছল্লী সমাবেশে প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দীনের উপস্থিতিতে মসজিদে নববীর সম্মানিত খতীব ড. আব্দুর রহমান আল-হুযায়ফী এদেরকে ‘কাফির’ ঘোষণা করে বলেন, এদেরকে যারা মুসলমান মনে করে তারাও ‘কাফির’। সরকারের নিকট দাবি জানিয়ে আমীরে জামা‘আত বলেন, এদেরকে অনতিবিলম্বে ‘কাফির’ ঘোষণা করে কাদিয়ানী বিতর্ক শেষ করুন। অমুসলিম সংখ্যালঘু হিসাবে অন্যদের ন্যায় তারাও দেশে বসবাস করুক, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু নিজেদেরকে মুসলিম জামাত দাবী করে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার কোন সুযোগ দেওয়া যাবে না।

[বিবৃতিটি দৈনিক ইনকিলাব, ১৩ই ফেব্রুয়ারী’১৯, পৃঃ ৮ এর ৫ম কলামে প্রকাশিত হয়েছে।]







আরও
আরও
.