নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে গত বছরের তুলনায় আত্মহত্যার সংখ্যা ২৬ শতাংশ বেড়েছে, যা দেশটিতে গত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করে এমন একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সামারিটানস অব সিঙ্গাপুর (এসওএস) তাদের বার্ষিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পরিসংখ্যানসহ এ তথ্য জানায়। কিন্তু কেন সিঙ্গাপুরের মতো এত প্রাচুর্যপূর্ণ দেশে মানুষের এমন সংকট? বলা হচ্ছে, বিষয়টি দেশটির অধিবাসীদের ‘অদৃশ্য মানসিক যন্ত্রণার প্রতিফলন’।

জনৈক মনোরোগবিশেষজ্ঞ এবং মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা বলেন, আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এটি সমাজে, বিশেষ করে তরুণ ও বয়স্করা কি পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণার শিকার, সেটাই তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকিত্বের মতো বিষয়গুলো, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক চাপ তৈরী করে, এমন বিষয়গুলোতে আমাদের সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ১০ থেকে ২৯ বছর বয়সী শিশু-কিশোর ও তরুণের সংখ্যা বেশী। আর বয়স্কদের মধ্যে ৭০-৭৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশী। ঐ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ৪৭৬। ২০০০ সালের পর এ সংখ্যা সর্বোচ্চ।

[দুনিয়ায় সব চাওয়া-পাওয়ার পরে মানুষের যখন আর কিছু চাওয়ার থাকে না, তখন মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে। আর তখনই সে আত্মহত্যা করে। মুসলমান পরকালের জন্য সবকিছু করে। ফলে তাদের মধ্যে হতাশা বা আত্মহত্যা ঘটেনা বললেই চলে। পরকালীন বিশ্বাসের দৃঢ়তার মধ্যেই রয়েছে আত্মহত্যা বন্ধের একমাত্র প্রতিরোধক (স.স.)]







আরও
আরও
.