সম্প্রতি অষ্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বাংলাদেশী বিজ্ঞানী যহীরুল আলম ছিদ্দীক্বীর নেতৃত্বে একদল বাংলাদেশী গবেষক ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায় শনাক্ত করার সহজ উপায় বের করেছেন। যন্ত্রটি ক্যান্সার শনাক্ত করার পাশাপাশি চিকিৎসার বিভিন্ন পর্যায়ে শরীরে ক্যান্সারের বৃদ্ধি অথবা হ্রাস পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। ফলে রোগীর চিকিৎসা সঠিক পথে এগোচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে চিকিৎসকেরা ধারণা পাবেন। যন্ত্রের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ২৫ জন ক্যান্সার রোগীর উপর পরীক্ষা চালিয়ে গবেষক দলটি শতভাগ সাফল্য পেয়েছে। জনাব ছিদ্দীক্বী বলেন, ঘরে বসেই যে কেউ এ যন্ত্রের সাহায্যে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারবেন। প্রথমে প্লাষ্টিকের অ্যাপেন ড্রপের মধ্যে দু’এক ফোঁটা রক্ত, লালা কিংবা প্রস্রাবের নমুনা নেওয়া হয়। এর সঙ্গে রোগ শনাক্তকরণের জন্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা যুক্ত জৈব নির্দেশক (বায়োমার্কার) যোগ করা হয়। এরপর বায়োমার্কারে রঙের পরিবর্তন খালি চোখে দেখে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার আছে কি-না, সেটি জানা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, বিশ্বে প্রতিবছর ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। বিশ্বে বিভিন্ন রোগে মৃতদের মধ্যে প্রতি ৬ জনে ১ জন মারা যায় ক্যান্সারে। প্রাথমিক অবস্থায় জানতে পারলে যার শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই নিরাময় হওয়া সম্ভব।

উদ্ভাবিত এই যন্ত্র বিশ্ববাসীর জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন ঐ বিজ্ঞানীগণ। বিশ্বের যে কেউ এটি প্রস্ত্তত করে ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে যন্ত্রটি উৎপাদন করলে খরচ পড়বে ১৫০ টাকা। আর উন্নত দেশে খরচ পড়বে ৫ ডলার বা ৪০০ টাকা।

[আমরা বিজ্ঞানীদের স্বাগত জানাচ্ছি এবং তাদেরকে আললাহভীরু হওয়ার উপদেশ দিচ্ছি (স.স.)]






আরও
আরও
.