আধুনিক
জীবনের বাস্তবতা বড়ই কঠিন হয়ে দেখা দিয়েছে ব্রিটিশদের জন্য। কাজের
ব্যস্ততায় খাওয়ার সময়ও পাচ্ছে না তারা! প্রধান ভোজ, রাতের খাবারে গড়ে তারা
সময় পায় মাত্র ২১ মিনিট। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যদেরও পাচ্ছে না খাবার
টেবিলে। পেলেও সেটুকু সময়ে ভাগ বসাচ্ছে স্মার্টফোন, কম্পিউটার। বাজার
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ওপিনিয়ন ম্যাটারস’ প্রতিবেদনটি তৈরী করেছে।
জরিপটি বলছে, পরিবারের সদস্যদের ক্রমে বেড়ে যাওয়া ব্যস্ততা আর কাজের ভিন্ন সময়সূচীই নাকি খাবারের টেবিলের এমন চেহারা তৈরী করে দিয়েছে। ৫৭ শতাংশ জানিয়েছেন, প্রতি রাতে তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাওয়ার সুযোগ পান না। আর ৫৫ শতাংশ বলেছেন, তাদের খাওয়ার সময়টুকুতেও ভাগ বসায় স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা টিভি। খাবার টেবিলই নেই ২০ শতাংশ পরিবারে। মাত্র ২ শতাংশ পরিবারে নিয়মিত একত্রে খাবার ব্যবস্থা থাকে।
তবে এই বাস্তবতায় বেশ হতাশ ব্রিটিশরা। জরিপে অংশ নেওয়া ৪৭% জানিয়েছেন, প্রতিদিন অন্তত একবেলাও যদি পরিবারের অন্যদের সঙ্গে বসে খাওয়ার সময় পাওয়া যেতে, তাহ’লে তারা খুশী হ’তেন। অক্সফোর্ডভিত্তিক সোশ্যাল ইস্যু রিসার্চ সেন্টারের প্যাট্রিক আলেক্সান্ডার বলেন, এই জরিপের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, বৃটিশরা উপলব্ধি করছে, একসঙ্গে খাওয়ার ব্যাপারটা তাদের জীবনকে সুখী করে তুলতে পারে এবং একাত্মতাবোধের বিকাশ ঘটাতে পারে।
একই সাথে আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটিশ নাগরিকদের একটি বড় অংশ একাকীত্বে ভুগছে। তাদের সহায়তা করতে পৃথক একটি মন্ত্রণালয় তৈরী করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এ ঘোষণায় তিনি বলেন, বহু মানুষের জন্য আধুনিক জীবনের দুঃখজনক এক বাস্তবতা হলো একাকীত্ব। এ সমস্যা মৃত্যুর কারণ হ’তে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। ফলে নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ট্রেসি ক্রাউচকে।
[হাদীছে কুদসীতে আল্লাহ বলেন, ‘হে আদম সন্তান! তুমি আমার ইবাদতের জন্য অবসর হও! আমি তোমার হৃদয়কে সচ্চলতা দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার অভাব দূর করে দেব। আর যদি অবসর না হও তাহ’লে আমি তোমার দু’হাত ব্যস্ততা দিয়ে ভরে দেব এবং কখনোই তোমার অভাব দূর করব না’ (তিরমিযী হা/২৪৬৬) (স.স.)]