গত ২৯শে
জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাস চাপায় দুই কলেজ
শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়কের দাবীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের
প্রেক্ষিতে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর খসড়া ৬ই আগষ্ট মন্ত্রীসভার বৈঠকে
চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। গত বছরের ২৭শে মার্চ ‘সড়ক পরিবহন আইন’-এর খসড়া
নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা। খসড়া আইনে পরিবহন খাতে বিভিন্ন অপরাধের
জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়।
আইনানুযায়ী গাড়ি চালানোর সময় কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। করলে সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদন্ড বা ৫ হাযার টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ডের বিধান রয়েছে। সড়কের ফুটপাতের ওপর দিয়ে কোন ধরনের মোটরযান চলাচল করতে পারবে না। করলে তিন মাসের কারাদন্ড বা ৩৫ হাযার টাকা জরিমানা গুনতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য গাড়ি চালককে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণী পাস হ’তে হবে। কন্ডাক্টর বা চালকের সহযোগীকে কমপক্ষে লেখার ও পড়ার সক্ষমতাসহ পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া থাকতে হবে। কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাযার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। চালকের সহকারীর লাইসেন্স লাগবে। কন্ডাক্টরের লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের কারাদন্ড বা ২৫ হাযার টাকা জরিমানা হবে। জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড বা ৩ লাখ টাকা জরিমানা। ফিটনেস বিহীন মোটরযান চালালে সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। দুর্ঘটনার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষ হত্যা করলে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় শাস্তি মৃত্যুদন্ড। হত্যা না হ’লে ৩০৪ ধারায় শাস্তি হবে যাবজ্জীবন। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে ৩০৪ (বি) ধারা অনুযায়ী ৩ বছরের কারাদন্ড হ’তে পারে। গাড়ি ওযনসীমা অতিক্রম করলে সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদন্ড বা ৩ লাখ টাকা জরিমানা হবে।