মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচি নিজ দেশ মিয়ানমারের জন্য ১৫ বছর গৃহবন্দী থাকায় পশ্চিমাদের নিকট ন্যায়পরায়ণতার দিক থেকে সমাদৃত। বর্তমানে তিনি মিয়ানমারের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী ‘রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা’ পদে সমাসীন। কিন্তু এক সাক্ষাৎকারে সুচি তার চরিত্রের অন্য একটি দিক উন্মোচন করে দিলেন। বিবিসি টুডের বিখ্যাত উপস্থাপক পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত সাংবাদিক মিশাল হুসেনের নিকট প্রদত্ত সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে সুচি স্বাভাবিক মেযাজ হারিয়ে ক্ষেপে যান এবং তাকে বিড়বিড় করে ক্রোধের সাথে বলতে শোনা যায়, একজন মুসলিম যে আমার সাক্ষাৎকার নেবে এটা আমাকে কেউ বলেনি। তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় যখন মিশাল সুচিকে তার দেশের রোহিঙ্গাদের উপর চালানো বৌদ্ধদের নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন করেন। ৭০ বছর বয়সী সুচি তার দেশে রোহিঙ্গাদের উপর চালানো অমানুষিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে কখনো একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। সুচির অন্ধ সমর্থকও এ কথা স্বীকার করে যে, রোহিঙ্গাদের উপর চালানো বৌদ্ধদের বর্বর নির্যাতনের ব্যাপারে সুচির আচরণ সন্দেহজনক। মিশাল সুচিকে ইসলাম বিরোধিতা ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর চালানো গণহত্যার ব্যাপারে নিন্দা জানানোর আহবান জানালে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। সুচি বলেন, আমি মনে করি অনেক বৌদ্ধও বিভিন্ন কারণে দেশত্যাগ করেছে। এটা আসলে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসনের ফল। মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের সহ্যই করতে পারে না। তাই ধারণা করা হচ্ছে, সুচি তার বৌদ্ধ সমর্থকদের বিরাগভাজন হ’তে চান না বলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মুখ বন্ধ রেখেছেন। মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার ৪% মুসলিম। দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করা রোহিঙ্গা মুসলিমরা দেশটিতে ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসাবে স্বীকার করা হয় না এবং তাদের কোন রাজনৈতিক অধিকারও সেখানে নেই।
[মুসলমানরা এইসব গণতন্ত্রী নোবেলজয়ীদের
নিকট মানুষই নয়। আল্লাহ তাকে মানুষ বানান ও তার হাত দিয়ে নির্যাতিত
মুসলমানদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিন, এ দো‘আ করি (স.স.)]