ধূমপানের পরোক্ষ ক্ষতির শিকার হচ্ছে ঢাকা এবং আশপাশের এলাকার ৯৫ শতাংশ শিশু। গত ৭ ডিসেম্বর’১৭ ইংল্যান্ডে প্রকাশিত ‘অক্সফোর্ড জার্নাল অব নিকোটিন অ্যান্ড টোবাকো’র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং আশপাশের এলাকার ৯৫ শতাংশ শিশুই নিজের দেহে বিষাক্ত নিকোটিন বয়ে বেড়াচ্ছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশী শিশুদের যত দ্রুত সম্ভব পরোক্ষ ধূমপান থেকে রক্ষা করা দরকার।

গবেষণা প্রকল্পের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রুমানা হক বলেন, ‘বাড়িতে শিশুরা পরিবারের সদস্যদের ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাস্তায়, বাসে, দোকানে এবং রেস্টুরেন্টে অনেক লোকজন ধূমপান করে। এতে শিশুরা ক্ষতির শিকার হচ্ছে’। বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আলী হোসাইন বলেন, ‘শিশুদের অ্যাজমার অন্যতম প্রধান কারণ পরোক্ষ ধূমপান। বাবা, ভাই কিংবা পথচারীদের ধূমপানের শিকার হয় তারা’।

ধূমপায়ীদের মুখ থেকে বের হওয়া ধোঁয়া যখন অন্যের ফুসফুসে প্রবেশ করে, তখন তাকে সেকেন্ডহ্যান্ড স্মোক বলা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু সেকেন্ডহ্যান্ড স্মোকিংয়ে ক্ষতির শিকার।






আরও
আরও
.