ইউরোপে মুসলিম-খ্রিস্টান সম্প্রদায় সম্মিলিতভাবে বসবাস করত বলে প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন বিজ্ঞানীরা। দীর্ঘ গবেষণায় ফ্রান্সের নৃবিজ্ঞানীরা সম্প্রতি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে খুঁজে পেয়েছেন সেখানকার মুসলিমদের প্রাচীনতম কয়েকটি কবর। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো শুধু ফ্রান্সেরই নয়, পুরো ইউরোপে মুসলিমদের প্রাচীনতম সমাধি হ’তে পারে। এগুলো পাওয়া গেছে খ্রিস্টানদের সমাধি সিমেট্রির বাইরে। ফ্রান্সের নৃবিজ্ঞান বিষয়ক অনলাইন ম্যাগাজিন প্লাস ওয়ান এ নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ করেছে। দেশটির নিমস শহরের কবরগুলোতে পাওয়া কয়েকটি কঙ্কাল পরীক্ষা করে গবেষকরা জানিয়েছেন, লাশগুলোকে মক্কার দিকে মুখ করে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। কঙ্কালগুলোর রেডিওকার্বন পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে, এর হাড়গুলো সপ্তম অথবা অষ্টম শতকের। এ নিয়ে আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, মৃত মানুষগুলোর পূর্বপুরুষরা ছিল উত্তর আফ্রিকার বার্বার জনগোষ্ঠী। এ বিষয়গুলো নতুন করে প্রশ্ন তৈরী করেছে, মুসলিমরা আসলে কখন পশ্চিম ইউরোপে প্রবেশ করেছিল। ১৪৯২ সাল পর্যন্ত আইবেরীয় উপদ্বীপে বিদ্যমান ছিল মুসলিম শাসন। পাশ্চাত্যে মুসলিমদের প্রবেশ এবং শাসনকার্য পরিচালনার একটি দীর্ঘ ইতিহাস আছে। ফ্রান্সের জাতীয় নৃবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের গবেষক এবং এই গবেষণা প্রকল্পের প্রধান ইভেস গ্লেজি এ বিষয়ে বলেন, আগে থেকে আমাদের ধারণা ছিল, মুসলিমরা অষ্টম শতকের দিকে ফ্রান্সে প্রবেশ করে থাকতে পারে। তবে এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন প্রমাণ ছিল না। কবরে প্রাপ্ত হাড় এবং কবরের মাটি পরীক্ষা করে গবেষকরা তাদের প্রতিবেদনে বলেছেন, কয়েক শতক ধরে ইউরোপের অনেক জায়গায় মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা একই সঙ্গে বসবাস করেছে। একসঙ্গে কাজকর্ম করেছে এবং একই সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করেছে।





বিষয়সমূহ: সমাজ-সংস্কার
আরও
আরও
.