ইউরোপীয়
মানবাধিকার আদালত (ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউমান রাইটস সংক্ষেপে ইসিএইচআর)
নবী মুহাম্মদ (ছাঃ)-এর অবমাননাকে মত প্রকাশের অনুমোদিত সীমার লঙ্ঘন বলে
আখ্যায়িত করেছে। গত ২৫শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার দেওয়া রায়ে আদালত বলেছে যে,
আয়েশা-কে অল্প বয়সে বিবাহের অভিযোগে নবী মুহাম্মদ-কে শিশু যৌন নিপীড়ক বলে
অভিযুক্ত করে বক্তব্য প্রদানকারিণী অস্ট্রিয়ান মহিলাকে ফৌজদারি অপরাধে সাজা
প্রদান ও জরিমানা করে অস্ট্রিয়ার আদালতের দেয়া রায়ে তার মত প্রকাশের
অধিকার লঙ্ঘিত হয়নি। ৭ জন বিচারকের একটি প্যানেল এ রায় প্রদান করেন।
অস্ট্রিয়ার আদালত শিশু যৌন নিপীড়ন ও শিশু বিবাহের মধ্যে একটি পার্থক্য
টেনেছে যা ঐতিহাসিকভাবে ইউরোপের শাসক পরিবারগুলোতে সাধারণ প্রথা হিসেবে
প্রচলিত ছিল। অস্ট্রীয় নাগরিক উক্ত মহিলা ২০০৮ ও ২০০৯ সালে অস্ট্রিয়ার চরম
ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টির (এফপিও) জন্য ইসলাম বিষয়ে কয়েকটি সেমিনারের আয়োজন
করেন ও সেখানে তিনি নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে উপরোক্ত কটূক্তি করেন।
উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালে অস্ট্রিয়ার একটি আদালত ধর্মীয় মতবাদ অবমাননার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ৪৮০ ইউরো (৫৪৮ ডলার) জরিমানা করে। এ রায়ের বিরুদ্ধে ঐ মহিলা দু’বার আপিল করলেও তার বিরুদ্ধে পূর্বের রায় বহাল থাকে।
[আমরা আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। সাথে সাথে অন্যদেরকে এ থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি। বাংলাদেশে যারা বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধের পক্ষে প্রচার চালিয়ে থাকেন এবং পরোক্ষভাবে এজন্য ইসলামকে দায়ী করেন, তাদের উচিৎ বাল্যবিবাহ বন্ধের প্রচারণার বদলে বাল্য ধর্ষণ বন্ধে প্রচার চালানো (স.স.)]।