ভোলার চরফ্যাশন উপযেলার লোকমান হোসাইন (৪৫) ৪ এনজিওর ঋণের টাকার চাপে বসত ঘরের কাঠের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত ৩১শে মার্চ ঘটনাটি ঘটে। তার ৩ কন্যা ও ৩ পুত্র সন্তান রয়েছে। একটি মেয়ে ছাড়া সবাই নাবালক। সে মেয়ের বিবাহ ও সংসার পরিচালনার জন্য স্ত্রী ও তার নামে বেসরকারী এনজিও ‘আশা’ থেকে ৭০ হাযার, ‘গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা’ থেকে ৩৫ হাযার, ‘পরিবার উন্নয়ন সংস্থা’ থেকে ৪৯ হাযার, ‘কোস্ট ট্রাস্ট’ থেকে ৫০ হাযার টাকাসহ সর্বমোট ২ লাখ ৪০ হাযার টাকা ঋণ গ্রহণ করে। অতঃপর এনজিওগুলোর সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে স্থানীয় ৯ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় সূদের উপর টাকা গ্রহণ করে। ফলে দেনার চাপ আরো বেড়ে যায়। রাত পোহালেই এনজিও কর্মীরা বাসায় হাযির হয়। ওয়াদা মত টাকা পরিশোধ না করায় গাল-মন্দ ও ঘরের আসবাবপত্র নেয়ার হুমকি দেয়। এদিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঋণের টাকা-পয়সা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া বাধে। ঘটনার দিন তারা ‘পরিবার উন্নয়ন সংস্থা’র কিস্তি পরিশোধ করেছিল। কিন্তু পরদিন রবিবার আরেকটি সংস্থার কিস্তি পরিশোধের জন্য ছোটা-ছুটি করছিল। একপর্যায় লোকমান দায়-দেনায় চিন্তিত হয়ে সন্ধ্যায় নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।







আরও
আরও
.