স্বদেশ
সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ
বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও খাতের মধ্যে পুলিশ বিভাগ সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত। এর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল ও বিচার বিভাগ। একই সঙ্গে প্রতি ১০ জন মানুষের মধ্যে ৬ জনই দুর্নীতির শিকার এবং প্রতি চারজনের মধ্যে একজনকে বিভিন্ন কাজের জন্য ঘুষ দিতে হয়েছে। ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল’ প্রকাশিত গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার (বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির পরিমাপক) প্রতিবেদন থেকে এতথ্য জানা গেছে।
বিচার বিভাগে সর্বাধিক দুর্নীতি-টিআইবি : সেবাখাতের মধ্যে দেশের বিচার বিভাগ সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত। ৮৮ শতাংশ খানা এ খাতের দুর্নীতির শিকার। শুনানী দ্রুত করানো কিংবা শুনানির তারিখ পেছানো, মামলার রায়কে প্রভাবিত করা, ডকুমেন্ট উত্তোলন বা গায়েব করতে ঘুষ বা বিধিবহির্ভূত অর্থ দিতে হয়েছে তাদের। গত ২৩ ডিসেম্বর ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ (টিআইবি) পরিচালিত ‘সেবাখাতের দুর্নীতি : জাতীয় খানা জরিপ ২০১০’-এ এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। জরিপ অনুযায়ী দুর্নীতির কারণে বছরে প্রায় ৯,৫৯১.৬ কোটি টাকা ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ প্রদান করতে হয়েছে। এদিকে এ রিপোর্ট প্রকাশের পর টিআইবি’র তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ২৬ ডিসেম্বর কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত তাদের আদালতে হাযির হ’তে সমন জারি করেন।
ডঃ ইউনুসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ৭শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দেয়া ৭শ’ কোটি টাকা (১০ কোটি ডলার) গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অন্যত্র সরানোর অভিযোগ উঠেছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের বিরুদ্ধে। দারিদ্র্য দূর করার জন্য ভর্তুকি হিসাবে গ্রামীণ ব্যাংককে ১৯৯৬ সালে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেয় ইউরোপের কয়েকটি দেশ। নরওয়ে, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানির দেয়া এই অর্থ থেকে ১০ কোটি ডলার বা ৭শ’ কোটি টাকারও বেশী গ্রামীণ ব্যাংকের পরিবর্তে ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ নামে নিজের অন্য এক প্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেন ড. ইউনুস। ঢাকার নরওয়েজিয়ান দূতাবাস, নরওয়ে দাতা সংস্থা ‘নোরাড’ এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ অর্থ গ্রামীণ ব্যাংকে ফেরত নিতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে। ১০ কোটি ডলারের মধ্যে সাত কোটি ডলারেরও বেশী অর্থ ড. ইউনুসের ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ নামের প্রতিষ্ঠানেই সরাসরি থেকে যায়। এরপর ‘গ্রামীণ কল্যাণে’র কাছ থেকে এই অর্থ ঋণ হিসাবে নেয় গ্রামীণ ব্যাংক। উল্লেখ্য, কোটি কোটি ডলার সরানোর এ ঘটনা যাতে প্রকাশ না হয়, সেজন্য ড. ইউনুস নোরাডের তখনকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ১৯৯৮ সালের ১ এপ্রিলে লিখিত চিঠিতে বলেন, ‘আপনার সাহায্য আমার দরকার। সরকার এবং সরকারের বাইরের মানুষ বিষয়টি জানতে পারলে আমাদের সত্যিই সমস্যা হবে’।
ক্ষুদ্রঋণের বলির পাঠা হিলারী পল্লী : ক্ষুদ্রঋণের মডেল বলে কথিত যশোরের ঋষী পল্লী ওরফে হিলারী পল্লীর দরিদ্র জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের যে কুহেলিকা ড. ইউনুস দেখিয়েছিলেন, তা এখন হাহাকারের জনপদে পরিণত হয়েছে। যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের পাশে বারোবাজারের মশিয়াহাটি ঋষী পল্লীতে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য ১৯৯৫ সালের ৩ এপ্রিল সেখানে আনা হয় আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হিলারী ক্লিন্টনকে। সেজন্য রাতারাতি পল্লীটির চেহারার পরিবর্তন ঘটানো হয়। নামকরণ করা হয় হিলারী আদর্শ পল্লী। সেই আদর্শ পল্লীর জনগণ সন্তানাদি নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। ঋণের জালে আটকা পড়ে ভিটাবাড়ি বিক্রি করে অভাবের তাড়নায় এলাকা থেকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ঋণগ্রস্ত অনেকের ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অথচ ইতিপূর্বে তারা বুট পালিশ, ঝুড়ি ও কুলা তৈরী এবং কমবেশী আবাদী জমি চাষাবাদ করে সংসার নির্বাহ করতো। হিলারী পল্লীর ভক্ত দাস বলেন, ‘হিলারী ম্যাডাম এসেছিলেন, অনেক স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল আমাদের। কিন্তু বাস্তবে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি। শুধু আমি নই, ঋণ নিয়ে কারোরই ভাগ্য ফেরেনি। ১৯৯১ সাল থেকেই ঋষী পল্লীতে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণদান কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ ২৫ বছরে সেখানকার দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি; বরং সূদখোর মহাজনের ঋণের বিষাক্ত ছোবল তাদেরকে প্রতিনিয়ত দংশন করছে।
দারিদ্র্যসীমার নিচে ৩ কোটি শিশু
দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৩ কোটি শিশু দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। এর মধ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সংখ্যা ৪০ লাখ। ইউনিসেফের তথ্য মতে এক-চতুর্থাংশ শিশু বাস করছে চরম হতদরিদ্র অবস্থায়। তারা সবাই মৌলিক সামাজিক প্রয়োজন তথা আশ্রয়, খাদ্য, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও তথ্য পাওয়ার ন্যূনতম মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত।
খালাস পেয়েও হযরত আলী একযুগ কারাগারে
খালাস পেয়েও দীর্ঘ এক যুগ কারাগারে আটক আছেন সাভারের ফিরিঙ্গীকান্দা এলাকার হযরত আলী। ১৯৯৮ সালে গ্রেফতার হয়ে এখন পর্যন্ত তিনি কারাগারে আছেন বলে মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ তাদের নভেম্বর মাসের প্রতিবেদনে জানিয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক ঢাকার সাভার থানাধীন ফিরিঙ্গীকান্দার বাহেরচর নিবাসী সুমন আলীর ছেলে হযরত আলীকে কেরানীগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ ১৯৯৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে। সেদিন থেকে হযরত আলী আজ পর্যন্ত এ কারাগারে বন্দী আছেন। দীর্ঘ ১২ বছরে কখনোই তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। গত ২৪ আগষ্ট হযরত আলী তার বিষয়টি মীমাংসার জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের মাধ্যমে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেন। হযরত আলীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মামলাটি কোথায় কি অবস্থায় আছে, তা জানার জন্য তল্লাশি শুরু হয়। বেশ কয়েকটি কোর্টে তল্লাশির পর দেখা যায় ২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনের আদালতে মামলাটি নিস্পত্তি হয়েছে এবং এতে হযরত আলীকে খালাস দেয়া হয়েছে। এর পরও জেল কর্তৃপক্ষ তাকে জেলে আটক রাখে।
বিদেশ
যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোপন নথি ফাঁস করেছে উইকিলিক্স
যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোপন নথি ফাঁস করে দুনিয়াজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছে ওয়েবসাইট উইকিলিক্স। এতে বিশ্ব রাজনীতি ও কূটনীতির বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয় ফুটে উঠেছে। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২ লাখ ৫০ হাযার গোপন নথি রয়েছে উইকিলিক্সের সংগ্রহে। পর্যায়ক্রমে এগুলো প্রকাশিত হচ্ছে। এর ফলে উইকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে লন্ডন পুলিশ ৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯-টায় গ্রেফতার করেছে। তারা বলছে সুইডেনের একটি গ্রেফতারী পরোয়ানা বলে উইকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে সুইডিশ কর্তৃপক্ষ। তবে সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে অ্যাসাঞ্জ বলে আসছেন, এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ১৬ ডিসেম্বর শর্ত সাপেক্ষে তাকে যামিন দেয়া হয়েছে।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জীবনকাহিনী : সারা বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দেয়া ওয়েবসাইট ইউকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার ছোট্ট দ্বীপ কুইন্সল্যান্ডের টাউন্সভিলে ১৯৭১ সালের ৩রা জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। মা-বাবা থিয়েটারের সাথে জড়িত থাকার কারণে শৈশব থেকেই তার যাযাবর জীবন শুরু। অ্যাসাঞ্জের ৮ বছর বয়সে মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর মা এক সংগীতশিল্পীকে বিয়ে করেন। কিন্তু সৎ বাবার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মা ক্রিস্টিন ক্লেয়ার অ্যাসাঞ্জ ও তার ছোট সৎ ভাইকে নিয়ে পলায়ন করেন। এ সময় পাঁচ বছরে মোট ৩৭ বার তাদের থাকার জায়গা বদলাতে হয়েছে এবং সৎ বাবা কর্তৃক সন্তান অপহরণের আতংকে কাটাতে হয়েছে। তারা যে বাসায় থাকতেন তার পাশে একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকানে গিয়ে অ্যাসাঞ্জ কম্পিউটারের বোতাম চাপাচাপি করতেন। তারপর মা তাকে একটা কম্পিউটার কিনে দিলে তিনি দ্রুত এ বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠেন। তখন তিনি বিভিন্ন কম্পিউটার প্রোগ্রামের গোপন পাসওয়ার্ড ভেঙ্গে লুকানো সব তথ্য পড়ে ফেলতে পারতেন। এক সময় তিনি দু’জন হ্যাকারকে সঙ্গে নিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল সাবভারসিভস’ নামে একটি গ্রুপ গঠন করেন। কানাডার টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী নরটেলসহ ২৪টি প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষিত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ তাকে পাকড়াও করে। নিজের ভুল স্বীকার করে কয়েক হাযার ডলার জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান অ্যাসাঞ্জ। বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনা করে ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তিনি এ ধারণায় পৌঁছান যে, সব সরকার ও ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠান মিথ্যা বলে এবং জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে। সরকার মাত্রই ষড়যন্ত্রপ্রবণ। অ্যাসাঞ্জ মনে করেন, ষড়যন্ত্রকারীদের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে গোপনীয়তা। গোপনীয়তা ভেঙে দিতে পারলেই ষড়যন্ত্র ভন্ডুল করা সম্ভব। এ রকম ভাবনা বা দর্শন থেকেই তিনি ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে চালু করেন ‘উইকিলিক্স’ নামের ওয়েবসাইট, যার কাজই হবে জনগুরুত্বপূর্ণ গোপন নথিপত্র বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশ করা। উইকিলিক্সের কোন স্থায়ী অফিস নেই। কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা সবাই মোটের ওপর গুপ্ত জীবন যাপন করেন বাধ্য হয়ে। অ্যাসাঞ্জ ছাড়াও উইকিলিক্সের পাঁচজন নিয়মিত ও ৮০০ অনিয়মিত কর্মী রয়েছে। উইকিলিক্সের তথ্যগুলো মাটির ১০০ ফুট নিচে গ্রানাইটের ঢালাই দেয়া সুরক্ষিত স্থানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পরমাণু বোমা ফেলেও স্থানটিকে ধ্বংস করা যাবে না এবং তার তথ্যাবলী বিশ্বজুড়ে ২০টিরও বেশী সার্ভারে এমনভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে যে, কোন হ্যাকার তা নষ্ট করতে পারবে না এবং এটাকে ধ্বংস করতে হ’লে সারা বিশ্বের সমস্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করতে হবে।
উইকিলিক্সের তথ্য
আমেরিকার চাপে তুরাছের কার্যক্রম স্থগিত করে বাংলাদেশ সরকার
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের জঙ্গী অর্থায়ন ও আর্থিক অপরাধ বিষয়ক সহকারী সচিব প্যাট্রিক ওব্রিয়েন ‘জমঈয়াতু এহইয়াইত তুরাছিল ইসলামী’ (রিভাইভ্যাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি- আরআইএইচএস)-এর কর্মকান্ড নিয়ে ২০০৭ সালের মে মাসে কুয়েতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি এ সংস্থাটি নিয়ে বিশেষ করে বাংলাদেশে এর কর্মকান্ড নিয়ে মার্কিন সরকারের উদ্বেগের কথা জানান। উহকিলিক্সের ফাঁস করা মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এ সংক্রান্ত এক তারবার্তায় বলা হয়, কুয়েতে ঐ বৈঠকে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশে এই সংস্থার শাখাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুফারিশ করেন প্যাট্রিক ওব্রিয়েন। তারবার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার কুয়েতী এই সমাজকল্যাণমূলক সংস্থার বিরুদ্ধে জঙ্গীদের অর্থায়ন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনলেও বাংলাদেশের বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। ২০০৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার আরআইএইচএসের নিবন্ধন আরও পাঁচ বছরের জন্য নবায়ন করে। কিন্তু অবশেষে মার্কিন চাপে বাংলাদেশ সরকার সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
[কিন্তু প্রশ্ন হ’ল, ২০০৫ সালের ১৩ই রামাযানে এই সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত পেŠণে আটশ’ ইয়াতীমের রূযি তাহলে কেন বন্ধ করে দিলেন তৎকালীন সরকার? পিতৃ-মাতৃহারা এইসব অসহায় ইয়াতীমগুলি যদি পরে রূযির তাকীদে কোন অন্যায় পেশায় লিপ্ত হয়, তার দায়-দায়িত্ব কে নিবে? এছাড়া এদেশে কর্মরত প্রায় ৫৫ হাযার এন-জিওর অধিকাংশ যেখানে সূদের মাধ্যমে গরীবের রক্ত চুষে খাচ্ছে, সেখানে এই এনজিওটি সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে এদেশে অসংখ্য মসজিদ-মাদরাসা-ইয়াতীমখানা, নলকূপ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছিল। তাদের উপর কেন এই মিথ্যা অপবাদ চাপানো হ’ল? সাম্রাজ্যবাদীদের অন্যায় চাপের কাছে মাথা নত করাই কি তাহ’লে এদেশের নির্বাচিত সরকারগুলির দায়িত্ব? স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও কি দেশ আজও পরাধীন? মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন (স.স.)]
ভারতে টিভি সিরিয়াল দেখে বিগড়ে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম
ভারতে একটি জাতীয়ভিত্তিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে, সন্ধা সাতটা থেকে দশটার মধ্যে যে সিরিয়াল বা টিভি অনুষ্ঠান দেখানো হয় তাতে বিগড়ে যাচ্ছে ৬ থেকে ১৭ বছরের ছেলে-মেয়েরা। এই মত ব্যক্ত করেছেন অন্তত ৯০ শতাংশ অভিভাবক। তারা বলেছেন, যত দিন যাচ্ছে ততই শালীনতা হারাচ্ছে এসব অনুষ্ঠানের সংলাপ এবং ছবি। ভারতীয় মনস্তত্ত্ববিদরা বলেছেন, এই টিভি দেখার প্রভাবে ক্রমশ হিংস্র হয়ে উঠছে কম বয়সী ছেলেমেয়েরা। ফলে মা-বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেও তারা পিছু পা হচ্ছে না।