নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ২০২২ সালের দক্ষিণ এশিয়া চ্যাম্পিয়নশীপে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এ বিষয়ে গত ২০শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’এর চেয়ারম্যান মাওলানা আহমাদুল্লাহ। যেখানে তিনি বলেন, ‘মহিলা ফুটবল দলের শিরোপা জেতায় যারা অতি উৎফুল্ল, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পর্দানশীন মেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার ঘটনায় তাদের এত উৎফুল্ল হ’তে দেখা যায়নি কেন? তবে কি তাদের লক্ষ্য নারীর উন্নতি নাকি উন্নয়নের নামে নারীর উন্মুক্ত উপস্থাপন? যারা নারী ফুটবলারদের দিয়ে এদেশে ‘ধর্মবিদ্বেষ’ কায়েম করতে চাইছেন, তাদের ভাবখানা এমন যেন মহিলা ফুটবল দল নেপালের বিরুদ্ধে খেলতে নামেনি, বরং ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল! বাস্তবতা হ’ল, এদেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ। খেলোয়াড়রাও এর বাইরে নন।

আপনারা যাদের ‘ইউজ’ করে ইসলামবিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, তাদের একজন আল্লাহর উপর ভরসার কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আরেকজন মাকে নামায-রোযা করতে বলেছেন। কখনো আবার পুরো দল সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। এ থেকে পরিষ্কার যে, তারা মুসলমানের সন্তান। তারা আমাদেরই বোন। হয়তো ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা তাদের নাই। যারা পাহাড়ী আছেন, তারাও আমাদের অংশ।

তাছাড়া এসব মেয়েরা নিতান্ত গরীব ঘরের সন্তান। যদি তারা একটু সচ্ছল ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হ’তেন, তাহ’লে তাদের কয়জন ফুটবলকে পেশা হিসাবে বেছে নিতেন সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ বিষয়। সুতরাং ‘নারীবাদ’-এর মতো বড়লোকী তত্ত্ব তাদের জীবনে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বহীন।

অতএব এদের দিয়ে ইসলাম বিদ্বেষ ও আলেমদের প্রতি ঘৃণার চর্চা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই দেশে সফল হবে না। বরং তাদের মধ্যে সামান্য দাওয়াতী কাজ করা গেলে এরা একেকজন হাযারো মানুষের হেদায়াতের কারণ হ’তে পারেন ইনশাআল্লাহ।

তবে এটা সত্য যে, যেটাকে ‘খেলা’ বলা হচ্ছে সেটা মূলতঃ একটা সাংস্কৃতিক যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে যাদের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে অনেক সময় তারা নিজেরাও জানেন না যে, সামান্য পয়সার বিনিময়ে তাদের কোন কাজে ‘ইউজ’ করা হচ্ছে। মহান আল্লাহ তাদের ও ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ লালনকারীদের হেদায়াত দান করুন!

[চমৎকার মন্তব্যের জন্য তরুণ আলেম মাওলানা আহমাদুল্লাহকে ধন্যবাদ। তাঁর বক্তব্যের সাথে আমরা পুরোপুরি একমত। জাহেলী আরবের নারীরা প্রকাশ্যে ফ্যাশন করে বেড়াত। এর বিরুদ্ধে মুসলমান নারীদের ধমক দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা  তোমাদের গৃহে অবস্থান কর। পূর্বেকার জাহেলী যুগের নারীদের ন্যায় সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়িয়ো না’ (আহযাব ৩৩)। আল্লাহর এই নির্দেশকে অমান্য করে পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্রের সরকার মেয়েদেরকে দেশে-বিদেশে খেলিয়ে বেড়াচ্ছে। এর মন্দ পরিণতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর গযব থেকে রক্ষা করুন (স.স.)]।






ঢাকা শহরে মাটির নিচে হবে চার লেনের সড়ক
বন্দিশিবিরে ১০ লাখ মুসলমানকে আটকে রেখেছে চীন : যুক্তরাষ্ট্র
কিডনী দিয়ে পুত্রবধুর জীবন বাঁচালেন শাশুড়ী
স্বদেশ-বিদেশ
আইসিডিডিআরবির গবেষণা টাইফয়েড শনাক্ত করার নতুন পদ্ধতি
রোহিঙ্গাদের আবাসনে সোয়া ২ হাযার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
নাইজেরিয়ায় গভর্নরের স্ত্রীর ইসলাম গ্রহণ
বাস্ত্তচ্যুত মানুষের সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় বাংলাদেশ
এনজিও ঋণে রিকশাচালক লোকমানের আত্মহত্যা
২০২১ সালের মধ্যে ভারত থেকে সকল মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মালম্বী সম্পূর্ণ মুছে যাবে!
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হ’লেন জো বাইডেন
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শেখ হাসিনার আম উপহার
আরও
আরও
.