স্বাধীনতার পর থেকে অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের নেতৃত্ব পরিচালিত হয়েছে নারীদের মাধ্যমে। দেশের সর্ববৃহৎ দুই দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাদের হাতেই রাজনীতির চাকিকাঠি। এছাড়াও সংসদের স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা সবাই নারী। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব নারীদের হাতে থাকায় দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই। শুধু রাজনীতি নয়, বর্তমানে প্রশাসনেও নারীদের দাপট বাড়ছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সবাই নারী। বিসিএস ক্যাডারে পাস করেই তারা চাকরিতে প্রবেশ করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে প্রশাসনে সচিব পদে ১৩ জন, অতিরিক্ত সচিব ৩৮৬ জন, যুগ্ম সচিব ১০৫ জন, উপসচিব ২৭০ জন, ডিসি ৯ জন এবং ইউএনও ১৭২ জন নারী। এছাড়া সিনিয়র সহকারী সচিব ৩৮৯ জন এবং সহকারী সচিব ৪৬৩ জন প্রশাসনে কাজ করছেন। অথচ উন্নত বিশ্বের দেশ আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে নারীদের এই অবস্থান কল্পনাই করা যায় না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারী ক্লিনটনের মতো প্রার্থীকে শুধু নারী হওয়ায় ভোটদানে বিরত থাকে লাখ লাখ ভোটার।

[এত দাপট সত্ত্বেও নারী নির্যাতন হু হু করে বাড়ছে কেন? পুরুষের সাহায্য ব্যতীত এইসব নারীরা দাপট দেখাতে পারেন কি? তাই প্রশাসক হওয়া নারীর জন্য গৌরবের নয়, বরং নারীত্বের পরাজয়। সে সর্বদা পুরুষের সমর্থনের ভিখারী থাকে। সেই সাথে বাধ্য হয় সর্বদা চোখ, কান ও মনের পাপের মধ্যে ডুবে থাকতে। অতএব আল্লাহকে ভয় কর (স.স.)]






আরও
আরও
.