
আগে
কুরবানীর পশুর হাড়, শিং ও নাড়ি-ভুঁড়ি বর্জ্য হিসাবে ফেলে দেওয়া হ’ত। তবে
এখন আর সেগুলি ফেলনা নয়। রাজধানীতে কুরবানীর পশুর উচ্ছিষ্টাংশ তথা হাড়,
শিং, অন্ডকোষ, নাড়ি-ভুঁড়ি, মূত্রথলি, পাকস্থলি, চর্বি ইত্যাদির জমজমাট
ব্যবসা চলছে। কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে এসব বর্জ্যের। সংশ্লিষ্ট
সূত্রে জানা গেছে, বর্হিবিশ্বে বেড়েই চলছে দেশের গরু-মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি
(ওমাসম) ও পেনিসের (পিজল) চাহিদা। এ থেকে তৈরী হয় উন্নত মানের স্যুপ ও
সালাদ, যা চীনাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় খাবার। এসব পণ্যের সিংহভাগই রফতানী
হচ্ছে প্রধানতঃ চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে। ওমাসম এক্সপোর্টার
এ্যাসোসিয়েশনের দাবী অনুযায়ী করোনা সঙ্কটেও বছরে ৩২০ কোটি টাকার ওমাসম
বাংলাদেশ থেকে রফতানী হচ্ছে। সঙ্কট না থাকলে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা ছাড়াতো এর
রফতানী আয়।
গরু যবহের পর এক সময় নদী খালে ফেলে দেওয়া হ’ত এসব উচ্ছিষ্ট। যা পরিবেশ দূষণ করতো। কিন্তু বিভিন্ন দেশে এসব পণ্যের কদর রয়েছে জেনে এখন নিয়মিত এ পণ্য রফতানী হচ্ছে। আড়ৎদাররা কসাই বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতি পিস কাঁচা (লবণযুক্ত) পিজল কিনেন ৫০ থেকে ৭০ টাকা দামে। যা প্রক্রিয়াজাত ছাড় প্রতি কেজি কাঁচা (লবণযুক্ত) ওমাসম বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। প্রক্রিয়াজাত শেষে প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৫৫০-৬৫০ টাকা দরে।
বর্তমানে সারাদেশের ৪০ জন ব্যবসায়ী গরুর ওমাসম ও পিজল রফতানী করছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে লোক ঠিক করে বছর জুড়েই তারা ওমাসম ও পিজল সংগ্রহ করেন। কুরবানীর সময় ওমাসম ও পিজল সংগ্রহ করা হয় বছরের মোট চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ।