২০১৫ সালে ৬টি বিষয়ে মোট ১০ জন ব্যক্তি ও ৪টি প্রতিষ্ঠান নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। চিকিৎসা
বিজ্ঞানে কেঁচো ক্রিমি থেকে সৃষ্ট রোগ প্রতিকার ও ম্যালেরিয়ার নতুন
চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করছেন যথাক্রমে
আয়ারল্যান্ডের উইলিয়াম সি ক্যাম্পবেল ও জাপানের ওমুরা এবং চীনের ইউইউ ত।
পদার্থের অণুতে নিউট্রিনোর রূপ বদলের স্বরূপ খুঁজতে গিয়ে এই কণার ভর থাকার
ইংগিত পেয়ে জাপানের তাকাকি কাজিটা ও কানাডার আর্থার বি. ম্যাকডোনাল্ড নামে
দুই বিজ্ঞানী পেয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞানের নোবেল। জীবন্ত কোষ
কি করে তার ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ মেরামত করে, আর কেমন করে জিনে থাকা তথ্যের
সুরক্ষা দেওয়া হয়- সেই প্রশ্নের উত্তর বিশ্ববাসীর নিকটে স্পষ্ট করে রসায়নে
নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হ’লেন সুইডেনের টোমাস লিন্ডাল,
যুক্তরাষ্ট্রের পল পল মডরি ও তুরস্কের আযীয সানজার। এর মধ্য দিয়ে ক্যান্সার
চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। সাহিত্যে নোবেল
পেয়েছেন ৬৭ বছর বয়সী বেলারুশ লেখক সলতিয়েনা আলেক্সিয়েভিচ। চেরনোবিল এবং
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে রেকর্ড করা হাযার হাযার সাক্ষাৎকারকে আবেগময়
সাহিত্যে পরিণত করে তিনি এক নতুন ধরনের রচনা সৃষ্টি করেন। অর্থনীতিতে
নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক
ইঙ্গো-মার্কিন অর্থনীতিবিদ অ্যানগাস ডেটন। ভোগ, দারিদ্র ও জনকল্যাণ বিষয়ে
গবেষণার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তিউনিসিয়ায় ২০১১ সালের বিপ্লবের
পর সেখানে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের ধারা সুসংহত করার জন্য শান্তিতে
নোবেল পেয়েছে দেশটির চারটি সংগঠনের একটি জোট। নোবেল কমিটি বলেছে, ন্যাশনাল
ডায়ালগ কোয়ার্টেট নামের শান্তি আলোচক ঐ জোটটি তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্র
প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রেখেছে।