৫৬. মাদারটেক, ঢাকা ৯ই জুন ১৩ই রামাযান শুক্রবার: অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ঢাকা যেলার উদ্যোগে মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, ইসলামী অর্থনীতির রূহ হ’ল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ধনীদের কাছ থেকে ছাদাক্বা নিয়ে তা গরীবদের মধ্যে বণ্টন করা। নিজ হাতে নয়, বরং ইসলামী আমীরের ‘বায়তুল মাল ফান্ডে’ জমা করে সেখান থেকে সুশৃংখলভাবে তা বণ্টিত হবে। তাহ’লে ব্যক্তি রিয়া ও শ্রুতির পাপ থেকে বেঁচে যাবেন। সেই সাথে সুপরিকল্পিতভাবে সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব হবে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ মুহাম্মাদ তমীযুদ্দীন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ মুস্তাফীযুর রহমান, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ তাসলীম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিন হাবীব, ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ জালালুদ্দীন, ঢাকা যেলা ‘যুবসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর অর্থ সম্পাদক কাযী মুহাম্মাদ হারূণুর রশীদ।
মহিলা বৈঠক : একই দিন সকাল ১০-টায় মসজিদ কমিটির সদস্য মুহাম্মাদ জালালুদ্দীনের বাসায় এক মহিলা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পর্দার অন্তরালে সমবেত মা-বোনদের উদ্দেশ্যে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত বলেন, আপনারা ইচ্ছা করলে সমাজ সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে পরিবার যদি বাধা হয়, তাহ’লে তাদের বুঝিয়ে স্ব স্ব পরকালীন মুক্তির স্বার্থে কাজ করতে হবে।
এসময়ে তিনি মহিলাদের লিখিত প্রশ্ন সমূহের উত্তর দেন। মহিলা বৈঠকের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদের ইমাম ও ‘সোনামণি’ ঢাকা যেলার পরিচালক মুহাম্মাদ আনীসুর রহমান।
জুম‘আর খুৎবা: মুহতারাম আমীরে জামা‘আত অদ্য মাদারটেক দো’তলা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে জুম‘আর খুৎবা প্রদান করেন। জুম‘আর খুৎবায় সমবেত মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আসুন আমরা সবাই আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেই! আমাদের ছালাত-ছিয়াম, যাকাত ও ছাদাক্বা সবই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাঁরই দেখানো পথে সম্পাদন করি। তিনি বলেন, আল্লাহ যদি বাঁচিয়ে রাখেন, তাহ’লে আগামী বছর এসে যেন এই মসজিদকে তার পূর্ণরূপে দেখতে পাই এবং যেন মুছল্লীদের স্থান সংকট দূরীভূত হয়।