(১) ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’
খুলনা সাংগঠনিক যেলার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জনাব সাইফুর রহমান (৮৬) গত
১৪ই আগস্ট বুধবার সকাল ৭-টা ১০ মিঃ দীর্ঘ রোগভোগের পর খুলনা কিওর হোম
হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন।
মৃত্যুকালে তিনি ৪ পুত্র ও ১ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। ঐ দিন
বাদ আছর রূপসা থানাধীন বামনডাঙ্গা আহলেহাদীছ মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তার
জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। অছিয়ত মোতাবেক তার নাতি হাফেয মুহাম্মাদ আলী
শাকিল জানাযার ছালাতে ইমামতি করেন। অতঃপর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন
করা হয়। জানাযায় ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ
যুবসংঘ’ তেরখাদা ও রূপসা উপযেলার দায়িত্বশীলগণসহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ
উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আত-তাহরীক পত্রিকা প্রকাশের শুরু থেকে তিনি এর
এজেন্ট ছিলেন এবং প্রায় ১০/১২ বছর যাবত পায়ে হেঁটে রূপসা উপযেলায় বাড়ী বাড়ী
গিয়ে প্রায় বিনামূল্যে পত্রিকা বিতরণ করেন।
(২) ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ যশোর যেলার প্রশিক্ষণ সম্পাদক ডা. আসাদুয্যামানের পিতা যশোরের দিগদানা গ্রামের তসীরুদ্দীন (৭৫) গত ৯ই যিলহজ্জ আরাফার ময়দানে স্থানীয় সময় আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০-টার দিকে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন। ১১ই যিলহজ্জ বাদ ফজর মাসজিদুল হারামে (কা‘বা) তার জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর শারায়ে‘ কবরস্থানে (مقبرة الشراﺋﻊ) (মক্কা থেকে ১৮ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত, যেখানে মৃত হাজীদের দাফন করা হয়ে থাকে) দাফন করা হয়। তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র, ৩ কন্যা, ২৫ জন নাতি-নাতনী, ১ ভাই, ৪ বোনসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। উল্লেখ্য, তিনি সাতক্ষীরা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নানের আল-ইখলাছ হজ্জ কাফেলার যাত্রী ছিলেন।
[আমরা তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।-সম্পাদক]