জনপ্রিয়তার
আরও একটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হ’লেন তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব
এরদোগান। সংবিধান সংশোধন বিষয়ক গণভোটে তার পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছে দেশটির
৫১ শতাংশ মানুষ। ফলে বিজয়ী হয়েছে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সংবিধান সংশোধন
প্রস্তাব।
এই বিজয়ের ফলে তুরষ্কের প্রায় একশ’ বছরের ইতিহাসে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হ’ল। দেশটি এবার পার্লামেন্টারী শাসন ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল শাসন ব্যবস্থায় প্রবেশ করবে। এর ফলে নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন প্রেসিডেন্ট। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়াতে ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতেই এমন পন্থা অবলম্বন করছে দেশটি। তবে গণভোটে এরদোগানের বিরোধিতাও ছিলো প্রায় সমান হারে। ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে ‘না’ ব্যালটে। তবে শেষ পর্যন্ত এরদোগানের প্রতিই আস্থা রেখেছে বেশির ভাগ মানুষ।
এর ফলে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ক্ষমতা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। তিনি মন্ত্রীদের নিয়োগ দেবেন, বাজেট তৈরি করবেন, সিনিয়র বিচারপতিদের বেশির ভাগকে নিয়োগও দেবেন তিনিই এবং ডিক্রি জারী করে কিছু বিষয়ে আইনও করতে পারবেন।
তিনি একাই যরূরী অবস্থা জারী করতে এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারবেন। প্রেসিডেন্টের বিচারের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন লাগবে। আর প্রেসিডেন্ট দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এরদোগান বলেছেন, সরকার পদ্ধতির এ পরিবর্তন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া দ্রুততর করবে।