আফগানিস্তানে মাদক উৎপাদন বন্ধে নযীরবিহীন সফলতা

মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বড় জয় পেয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। বৃটিশ গণমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে দেশব্যাপী পপি চাষ নিষিদ্ধ করে তালেবান। আর এরপরই লাফিয়ে লাফিয়ে কমতে থাকে ভয়াবহ এই মাদকের উৎপাদন। এক বছরের মধ্যে দেশটিতে ৮০ শতাংশ পপি উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। আর শুধু হেলমান্দ প্রদেশে পপি চাষ কমেছে ৯৯ শতাংশ। অথচ এর আগে প্রায় ২০ বছর ধরে এই প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ ছিল বৃটিশ বাহিনীর হাতে। তখনও পপি চাষের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল হেলমান্দ প্রদেশ।

এক রিপোর্টে টেলিগ্রাফ বলছে, আফগানিস্তান মানব ইতিহাসের সবচেয়ে সফল মাদক-বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে। এমনকি ওয়াশিংটনের ৫০ বছরের ওয়ার অন ড্রাগেও এত দ্রুত উৎপাদন হ্রাসের রেকর্ড নেই। অথচ ঐতিহাসিকভাবে আফগানিস্তান পপি চাষের জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের ৮০ শতাংশ পপি উৎপাদন হ’ত এদেশে। এছাড়া ইউরোপীয় দেশগুলোতে সরবরাহ করা আফিমের ৯৫ শতাংশই আসতো আফগানিস্তান থেকে।

যদিও আফগানিস্তানে পপি চাষ এমন নযীরবিহীন মাত্রায় কমে যাওয়ায় সন্তুষ্ট হওয়ার পরিবর্তে উল্টো উদ্বেগ দেখিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, আফিম উৎপাদন না হ’লে এখন কৃত্রিম আফিমের দিকে ঝুকে পড়বে মাদকাসক্তরা। এরমধ্যে আছে ফেন্টানিল, যা হেরোইন থেকেও বেশী ভয়াবহ।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ইউএস ইনস্টিটিউট ফর পিস (ইউএসআইপি) বলেছে, তালেবানের আফিম নিষিদ্ধের ঘটনা আফগানিস্তান ও বিশ্বের জন্য খারাপ ফল বয়ে আনবে।

২০০৪ সালে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ পায় যুক্তরাষ্ট্র। তখন দেশটি ঘোষণা করেছিল যে, আফগানিস্তানে পপি চাষের উৎপাদন হ্রাস তাদের অভিযানের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু মার্কিন দখলদারিত্বের সময় আফগানিস্তানে উল্টো পপির উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। যদিও এই শিল্প ধ্বংস করতে অন্তত ৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

[আমরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। এর মাধ্যমে দেশটি আল্লাহর অশেষ রহমতে আরো সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। সাথে সাথে দেশটিতে চলমান সংকট মোকাবিলায় সার্বিকভাবে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহবান জানাই (স.স.)] ।







আরও
আরও
.