‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ চাঁপাই নবাবগঞ্জ যেলার সাবেক অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ আশরাফুল হক মাস্টার (৮৭) হার্ট এ্যটাকে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৯শে এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুম‘আ মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্র ও ১ কন্যাসহ বহু সাংগঠনিক সাথী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। অতঃপর রাত সাড়ে ৯-টায় রহনপুর এবি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে তার ১ম জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন কাশিয়াবাড়ী আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল (অব.) মাওলানা আব্দুর রশীদ। এরপর রাত পৌনে ১০-টায় তার জন্মস্থান চাঁপাই নবাবগঞ্জ যেলার গোমস্তাপুর উপযেলার আলীনগর ইউনিয়নের উত্তর মকরমপুরস্থ আল-হিকমাহ ইসলামিক একাডেমী মাদ্রাসা ময়দানে তার ২য় জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ইমামতি করেন রহনপুর দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ও তার পৌত্র মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-ইমাম। জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা। জানাযায় চাঁপাই নবাবগঞ্জ-উত্তর সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন, প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা আবুল হোসাইন সহ যেলা ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’র দায়িত্বশীলগণ এবং বিপুল সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
[মরহূমের অছিয়ত অনুযায়ী লাশ নওদাপাড়া মারকাযে আনা হয়। সেখানে আমীরে জামা‘আত লাশ বহনকারী গাড়ীতে উঠে তাকে দেখে শিশুর মত কেঁদে ওঠেন ও তার মাথায়-মুখে হাত বুলিয়ে আবেগ প্রকাশ করেন ও প্রাণখোলা দো‘আ করেন। তিনি বলেন, সাংগঠনিক জীবনে তাঁর সাথে আমাদের বহু স্মৃতি রয়েছে, যা ভোলার মত নয়। একজন দূরদর্শী ও স্বচ্ছ হৃদয়ের মানুষ হিসাবে আমরা সবসময় তাকে মনে রাখব। তিনি বলেন, মাত্র কয়েক দিন পূর্বে তার সঙ্গে আমার মোবাইলে কথা হ’ল। উনি বললেন, রাজশাহীতে গেলে আপনার সঙ্গে দেখা করে আসব। সেটাই হ’ল। কিন্তু তিনি এলেন লাশ হয়ে। উল্লেখ্য যে, আমীরে জামা‘আত যখন বগুড়া কারাগারে ছিলেন, তখন তিনি বগুড়া গিয়েছিলেন এবং তার ছাত্র বগুড়ার ডিসিকে অনুরোধ করেছিলেন আমীরে জামা‘আত ও তার সাথীদের সত্বর কারামুক্ত করে দেওয়ার জন্য। আমরা মরহূমের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি ও তার রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। সেই সাথে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি-সম্পাদক।]