ভারতের মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমে প্রাচীন ভারতের জ্ঞান-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি চর্চা হিসাবে বেদ, গীতা, রামায়ণ পড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে ১০০ মাদ্রাসায় এগুলো পড়ানো শুরু করা হবে। পরবর্তীতে ৫০০ মাদ্রাসায় তা চালু করা হবে। এছাড়া চলতি বছরেই নতুন এই সিলেবাস উত্তরাখন্ডের চারটি মাদ্রাসায় যুক্ত করা হচ্ছে। উত্তরাখন্ড ওয়াকফ বোর্ড জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে তাদের ১১৭টি মাদ্রাসার পাঠ্যসূচীতেই যুক্ত হবে রামায়ণ। রামায়ণ পাঠদানের জন্য নতুন শিক্ষকও নিয়োগ দেওয়া হবে। উত্তরাখন্ড ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান শাদাব শামস বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি রামায়ণও পড়াবো। আমরা যদি লক্ষ্মণের কাহিনী থেকে তাদের শেখাতে পারি যে বড় ভাইয়ের জন্য তিনি কত ত্যাগ করেছিলেন, তাহ’লে ক্ষমতার লালসে আওরঙ্গজেবের ভাই হত্যার কাহিনী শেখানোর দরকার কি?
তিনি বলেন, ওয়াকফ বোর্ড থেকে এই চার মাদ্রাসায় রামায়ণ জানা চারজন প্রিন্সিপালকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নতুন সিলেবাস তৈরির জন্য আরও বড় পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
[কি চমৎকার ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ! কি চমৎকার যুক্তিবাদ! মুসলিম শাসকরা ৬৫০ বছর ভারত বর্ষ শাসন করেও কোন অমুসলিমকে তাদের ধর্মগ্রন্থ বা ধর্মাচার ছাড়তে বাধ্য করেনি। যদি সেটা করত, তাহলে ভারত আজ হিন্দু ভারত থাকতো না। হিংস্র মারাঠা নেতা শিবাজীরা মুসলিম শাসকদের উদারতা পেয়েছে। অথচ আজকের ভারতে তাদেরকেই তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষাগার মাদ্রাসাগুলিতে কুরআনের সাথে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ রামায়ন পড়াতে বাধ্য করা হচ্ছে মুসলিম নামধারী কিছু সরকারী মৌলবী দিয়ে। তাদের বশংবদদের মাধ্যমে বাংলাদেশেও অনুরূপ ধাক্কা আসতে পারে। অতএব জাতি সাবধান! (স.স.)]