এখনো ফিলিস্তীনীদের সেবা করে চলেছেন যে ইস্রাঈলী নারী

ইয়েল নোয়, একজন ইস্রাঈলী নারী। বাড়ি দেশটির উত্তরাঞ্চলে। ‘রোড টু রিকভারি’ নামের একটি দাতব্য সংস্থা চালান তিনি। সংস্থাটির স্বেচ্ছাসেবীরা অনেক আগে থেকেই ফিলিস্তীনের পশ্চিম তীর ও গাযার মুমূর্ষু রোগীদের (বিশেষত শিশু) খুঁজে বের করে ইস্রাঈলের ভেতরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে কাজ করছেন। ইয়েল নোয়ের জন্য স্বাভাবিক এ পরিস্থিতি বদলে যায় গত ৭ই অক্টোবর। ঐ দিন ইস্রাঈলে হামলা চালায় ফিলিস্তীনী সংগঠন হামাস। সেদিনই শুরু হয় গাযা উপত্যকায় ইস্রাঈলের নির্বিচার হামলা। থমকে যায় ইয়েলের কাজও।

কিন্তু দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ান ইয়েল নোয়। ব্যাপক রক্তপাতের মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কয়েকজনকে সঙ্গী করে নিজের কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন ইস্রাঈলী এই নারী। হামাসের হামলায় ইয়েলের পিতা-মাতা আক্রান্ত হন। প্রাণ যায় তার সাথে কাজ করা অন্তত চার স্বেচ্ছাসেবকের। আরও চার স্বেচ্ছাসেবক তাদের পরিবারের সদস্যদের হারান। তারপরও গাযায় ইস্রাঈলী বাহিনীর নৃশংসতা বেড়ে যাওয়ার পর আর চুপ করে থাকতে পারেননি। স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে নিয়ে গাযা ও পশ্চিম তীরে ইস্রাঈলের তল্লাশি চৌকিগুলোয় মুমূর্ষু রোগীদের খুঁজে বের করছেন তিনি। এরপর তাঁদের ইস্রাঈলের ভেতর হাসপাতালে নেওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ভার কাঁধে তুলে নিচ্ছেন।

ইয়েল বলেন, আমি আগের মতো ফিলিস্তীনীদের সহায়তা করতে শুরু করেছি। কেননা এখনকার পরিস্থিতির জন্য তাঁদের কোন দায় নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা খুবই কঠিন কাজ। তবে আমরা থামব না। সেবা দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাব। তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের প্রতিবেশী। তাঁদের সহায়তা দরকার। আর আমাদেরও তাঁদের সহায়তা করা প্রয়োজন।

[আমরা ইস্রাঈলী নারীর এই মানবিক সেবাকে অভিনন্দন জানাই এবং এ থেকে দেশটির যালেম সরকারকে শিক্ষা গ্রহণের আহবান জানাই (স. স.) ]







আরও
আরও
.