সকালে ভারী নাশতা, দুপুরে ক্ষুধার্ত হয়ে প্রয়োজনমতো খানা; আর রাতে হালকা খাবার খেলেই যথেষ্ট! অথচ আমরা অনেকেই এই নিয়ম মানি না। ঘুমানোর আগে পেট ভরে ভারী খাবার খাই। ফলে সেখান থেকে তৈরি হয় ঘুমের সমস্যার পাশাপাশি নানা শারীরিক ও মানসিক জটিলতা। অথচ এ নিয়মে ছোট্ট পরিবর্তন এলেই জীবন ইতিবাচকভাবে বদলে যাবে। সেটা হ’ল রাতের খাবার সন্ধ্যা সাতটার ভেতর সেরে ফেলা।
কোনভাবে রাতের খাবার সন্ধ্যার ভেতর সেরে ফেলতে পারলে নিম্নোক্ত সাতটি উপকার পাওয়া যাবে।
১. রাতের ঘুমের মান বাড়বে। রাতে গভীর ঘুম হবে। ভোরে ঘুম থেকে উঠতে সুবিধা হবে। দিনে কাজের সময় বেড়ে যাবে।
২. রাতের খাবার ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে খেতে পারলে তা শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেমকে এমনভাবে প্রভাবিত করবে যে সেটা ওযন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। ওযন কমানোর জন্যও আগে আগে রাতের খাবার সেরে ফেলার কোন বিকল্প নেই।
৩. হজমপ্রক্রিয়া ভালোভাবে চলবে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে তা কমে যাবে। পরিপাক বা গ্যাসের সমস্যা থাকলেও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
৪. রাতের খাবার আগেই সেরে ফেললে ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠার সময় হালকা বোধ হবে। ইচ্ছা থাকলে অনায়াসেই তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করা যাবে। আবার সারা দিন এনার্জিটিকভাবে কাটবে।
৫. যত দেরি করে রাতের খাবার গ্রহণ করা হবে, তত বেশী রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়বে। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আগে আগে রাতের খাবার সেরে ফেলতে হবে।
৬. মানুষের শরীর প্রকৃতির নিয়মে দিনে কাজ ও রাতে বিশ্রামের জন্য তৈরি। সে কারণে অধিকাংশ হরমোন, যেমন কর্টিসল, ইনসুলিন, থাইরক্সিন ইত্যাদি সবচেয়ে বেশী পরিমাণে তৈরি হয় সকালে। অন্যদিকে দিনের শেষভাগে এসে হরমোনের মাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাতে প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে আসে। তাই রাতের খাবার আগে আগে সেরে ফেললে তা হরমোনের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে।
৭. গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সারেন, সেই নারীদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসার ও পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ১৫ ভাগ কমে যায়।