সুইডেন শিক্ষা খাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক এগিয়ে। দেশটির নার্সারী শ্রেণীতেও ট্যাবলেটে পাঠদান চলে। তবে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে দেশটি। কারণ প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিশুদের মৌলিক দক্ষতা ও জ্ঞান বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। সুইডেনের স্কুলবিষয়ক মন্ত্রী লট্টা এডহম প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা গ্রহণের পদ্ধতির বড় সমালোচক। তিনি জানান, জাতীয় শিক্ষা সংস্থা প্রি-স্কুল পর্যায়ে ডিজিটাল ডিভাইস বাধ্যতামূলক করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা বাতিল করতে চায় সরকার। কয়েক মাস আগে তিনি বলেছেন, সুইডেনের শিক্ষার্থীদের আরও বেশী বেশী বই দরকার। ডিজিটাল কপি নয়, ছাপানো বই শেখার জন্য সবচেয়ে বেশী দরকার।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ইভালুয়েশন অব এডুকেশনাল অ্যাচিভমেন্ট (আইইএ) বৈশ্বিক শিক্ষার মান যাচাইয়ে নিয়মিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাদের সম্প্রতি এক গবেষণা বলেছে, সুইডেনের শিশুদের পড়া বুঝতে পারার দক্ষতা উচ্চ থেকে মাঝারি পর্যায়ে নেমে গেছে।
৩৮টি উন্নত দেশের আন্তঃসরকার সংস্থা ওইসিডির পিসা টেস্টে শিক্ষার মান যাচাই করা হয়। এতে শুধু শিক্ষার্থীদের পড়া বোঝার ক্ষমতা নয়, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও গণিতের দক্ষতাও যাচাই করা হয়। ২০১৩ সাল থেকেই সুইডেন ও এর আশপাশে প্রতিবেশী দেশগুলোর পিসা টেস্টের ফলাফলে মান অবনতি হচ্ছে।
বর্তমানে সুইডেনের শিক্ষকেরা শিশুশিক্ষার্থীদের ছাপানো বই পড়া, হাতের লেখা চর্চার প্রতি গুরুত্ব দিতে শুরু করেছেন। টাইপিংয়ের বদলে উৎসাহ দিচ্ছেন খাতা-কলমের অনুশীলনে।
[কোন কিছুর মাত্রাতিরিক্ততা ভাল নয়। প্রযুক্তির সুবিধা প্রয়োজনে গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু তা যেন সীমা ছাড়িয়ে না যায়। জ্ঞানচর্চার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যেন প্রযুক্তির কারণে অবরুদ্ধ না হয়। যান্ত্রিকতার আড়ালে মানবিকতার বিকাশ যেন বাধাগ্রস্ত না হয় (স. স.)]