অর্থমন্ত্রী
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে
পৃথিবীকে রক্ষা করা যাবে না। আগের তুলনায় বর্তমানে প্লেনে (আকাশ পথে
যাত্রায়) ঝাঁকুনি বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এ
ঝাঁকুনি আরও ২৫ ভাগ বাড়বে। তাই যেকোন মূল্যে আবহাওয়া পরিবর্তনের হার
নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ১০ই মার্চ রবিবার রাজধানীতে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই
অর্থনীতিকে গতিশীল করার লক্ষ্যে দু’দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ক্লিন এনার্জি
সামিট-২০১৯’ উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী ইতিমধ্যেই ২৬ শতাংশ উপকূলীয় জমি হারিয়েছে। বিশ্বব্যাপী আমরা প্রতি বছর ২ হাযার হেক্টর (প্রায় ৪৯৪০ একর) জমি হারাচ্ছি। আমরা কার্বন নিঃসরণ কম করছি। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ উন্নত দেশগুলিই বেশী দায়ী। কিন্তু খেসারত দিতে হবে আমাদের মতো দেশগুলিকে। এর বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। আবহাওয়া পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় বিশ্বে মাত্র ২৭২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে, যা খুবই সামান্য।
তিনি বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে খাবার পানি এতটাই অপ্রতুল হয়ে গেছে যে, তাইওয়ানে রেশন হিসাবে পানি দেয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগত পানির সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে কিছু কিছু দেশে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে বিশ্বে যে হারে বরফ গলা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে খুব শীঘ্র বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের বেশকিছু উপকূলীয় অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাবে। যা আমাদের জন্য ভয়াবহ ব্যাপার।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, গত ৫০ বছর ধরে গ্রীণ এনার্জিতে বিনিয়োগ কার্যক্রম চলছে। আমাদের এখন ৫.৩ মিলিয়ন সোলার হাউস সিস্টেম বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ সোলার সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসতে চাই।