দিনাজপুরের
হাকিমপুর উপযেলার ইসবপুর গ্রামে লোহার আকরিকের (ম্যাগনেটাইট) খনি আবিষ্কার
করেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপতর (জিএসবি)। দুই মাস ধরে কূপ খনন
করে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর গত ১৮ই জুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন
জিএসবির কর্মকর্তারা। তারা জানান, সেখানে ভূগর্ভের ১ হাযার ৭৫০ ফুট নীচে
৪০০ ফুট পুরুত্বের লোহার একটি স্তর পাওয়া গেছে। যা দেশের জন্য একটি
ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং বাংলাদেশে প্রথম আবিষ্কার। জানা গেছে, বিশ্বের যে
কয়েকটি দেশে লোহার খনি আবিষ্কার হয়েছে, সেসব খনির লোহার মান ৫০ শতাংশের
নীচে। আর বাংলাদেশের লোহার মান ৬৫ শতাংশের উপরে। এর ব্যাপ্তি রয়েছে ৬-১০
বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত। এখানে কপার, নিকেল ও ক্রোমিয়ামেরও উপস্থিতি রয়েছে।
১১৫০ ফুট গভীরতায় চুনাপাথরেরও সন্ধান মিলে। বহুকাল পূর্বে এখানে সমুদ্র
ছিল। সেই কারণে এখানে জমাট বাঁধা আদি শিলার ভেতরে লোহার আকরিকের এ সন্ধান
পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে নবাবগঞ্জ উপযেলার দীঘিপাড়া ও ফুলবাড়ীতে
আবিষ্কৃত হয়েছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ কয়লা খনি। কিন্তু তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
আলোর দেখা পায়নি জয়পুরহাটের চুণাপাথরের খনি। এই অঞ্চলেরই পঞ্চগড়ে শালবাহান
তেল খনি তেল উত্তোলন শুরুর আগেই ঢালাই দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল খনির
মুখ। তাই মানুষের দাবী হিলির লোহার খনির অবস্থা যেন ঐগুলির মত না হয়।
[আলহামদুলিল্লাহ! এটি বান্দার প্রতি আল্লাহর অপার অনুগ্রহের অংশ। এক্ষণে সরকারের কর্তব্য, দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য হা পিত্যেশ বন্ধ করা এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। সেই সাথে প্রয়োজন কঠোর হস্তে দুর্নীতি দমন ও আল্লাহর দেওয়া সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও তার সুষম বণ্টন (স.স.)]