(১) লবণাক্ততা বাড়ায় মিষ্টি পানি নির্ভর বৃক্ষের পরিমাণ কমছে। (২) শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ কমায় পলি সুন্দরবনের ভিতরে জমা হচ্ছে। (৩) জোয়ারের পানি বনের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা পাচ্ছে।
ফলে অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর একমাত্র ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল এবং সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে বাংলাদেশের এই সেফগার্ড ধ্বংস হয়ে যাবে। যা বাংলাদেশের ধ্বংস ডেকে আনবে। ইতিমধ্যে ফারাক্কা বাঁধের ভারতীয় অংশে পলি জমায় ঘন ঘন বন্যার কারণে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ফারাক্কা বাঁধ তুলে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। বাংলাদেশ শুরু থেকেই এ বাঁধের বিরোধিতা করেছে। কারণ এটি বাংলাদেশের জন্য মরণ বাঁধ। যা ইতিমধ্যে পদ্মা ও তার শাখা নদীগুলিকে হত্যা করেছে।
[এ বিষয়ে মাসিক আত-তাহরীকে প্রকাশিত সম্পাদকীয় সমূহ : (১) বন্যায় বিপন্ন মানবতা (২) ভেসে গেল স্বপ্নসাধ! (৩) বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী পরিকল্পনা আবশ্যক (৪) উত্তরাঞ্চলকে বাঁচান! (৫) টিপাইমুখ বাঁধ : আরেকটি ফারাক্কা (৬) ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প চালু (দ্র : দিগদর্শন-১ পৃ. ৬২, ৭০, ১১০, ১৪১; দিগদর্শন-২ পৃ. ২৩৭; সম্পাদকীয় জুন ২০১৬)]।