ফজরের পরই বেরিয়ে পড়েন নযরুল ইসলাম। এলাকায় ‘কালু কসাই’ বলে পরিচিত। স্থানীয় বাজার থেকে গরু কিনে গোশত বিক্রি করেন তিনি। বাজারে গরুর গোশত ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হ’লেও তিনি বিক্রি করছেন ৫৮০ টাকাতে।
কালু কসাই বলেন, বাজারে একটি গরু যবেহ করে বিক্রি করলে খাজনা দিতে হয় ৪ হাযার টাকা। দিনে ৪টা গরু যবেহ করলে ১৬ হাযার টাকা কমিটিকে দিতে হয়। এই খাজনার পরিমাণ অতিরঞ্জিত। ফলে আমি বাজার থেকে বের হয়ে বাড়ির পাশে ৩ রাস্তার মোড়ে গোশত বিক্রি করা শুরু করেছি। বাজার কমিটিকে যে টাকা দিতে হ’ত সেই টাকা সাধারণ মানুষের কাছে বেশি দামে গোশত বিক্রি করে তুলতে হ’ত। এখন সেই টাকা দিতে হয় না। ফলে আমি কম দামে গোশত দিতে পারছি। গাবতলী উপযেলার কদমতলী ৩ রাস্তার মোড়। সেখানেই কালু কসাইয়ের গোশতের দোকান। প্রতিদিন সকালে সেখানে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
ইউটিউব-ফেসবুক দুনিয়ায় কালু কসাইয়ের কম দামে গোশত বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়ায় বেশ দূর থেকে মানুষ গোশত কিনতে আসছেন তার কাছে। সকাল ৬টা থেকে দুপুরের পর পর্যন্ত চলে তার বিক্রি। শুক্রবার ১০টির অধিক এবং অন্য দিনগুলোতে ৫-৬টি করে গরু যবেহ হয় তার দোকানে। গোশত বিক্রির জন্য কালু কসাইয়ের দোকানে ৫ জন কর্মচারী কাজ করছেন। দোকানে কর্মরত তার বড় ছেলে হোসাইন আল-মাহমূদ জানান, আমাদের দোকানের অধিকাংশ গ্রাহক নিম্ন আয়ের মানুষ। আমরা দাম কমানোর পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের উপকারার্থে ১০০ গ্রাম থেকে শুরু করে চাহিদা অনুয়ায়ী গোশত বিক্রি করি। তিনি বলেন, বাজারে গরুর দাম অনুযায়ী ৬০০ টাকা কেজিতে গোশত বিক্রি করলেও লাভ হবে। অধিক মুনাফা লাভের আশায় গোশত ব্যবসায়ীরা ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। তাই এই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যরূরী।