স্বদেশ

ফের মার্কিন যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে

ফের একটি সর্বাধুনিক সামরিক প্রযুক্তির মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস প্যাট্রিয়ট (এমসিএম-৭) গত ১৩ মার্চ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে এসে ভিড়েছে। জানা গেছে, মাইন প্রতিরোধক সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ রণতরীর সাহায্যে সামুদ্রিক এলাকায় মাইনের অবস্থান নির্ণয় ও অপসারণের কৌশল বিষয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সঙ্গে সপ্তাহব্যাপী যৌথ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হবে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় আমেরিকান নৌ-সামরিক বাহিনীর এটি দ্বিতীয় এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে এটি আগত তৃতীয় মার্কিন যুদ্ধজাহাজের আগমন। যুদ্ধজাহাজটি ৬৮.৩০ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এবং সাড়ে ৪ মিটার গভীরতা সম্পন্ন। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের অদূরে কুতুবদিয়া বহির্নোঙ্গরে এসে পৌঁছায় ‘ইউএসএস ইংগ্র্যাহাম’ (এফএফজি-৬১)। এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রিত মাঝারি আকৃতির ক্ষেপণাস্ত্র রণতরী। জাহাজটি ১৩৮ মিটার ১০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট এবং ৭ মিটার গভীরতা সম্পন্ন। ৩ মার্চ পর্যন্ত এটি বাংলাদেশে অবস্থান করে। তাছাড়া ১৩ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম বন্দরে ‘ইউএসএস সেফ গার্ড’ নামের একটি রণতরী পুরা এক সপ্তাহ সেখানে অবস্থান শেষে ২০ ফেব্রুয়ারী বন্দর ত্যাগ করে।

পাহাড়ী জনপদে ইউপিডিএফ বছরে ১২০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে

পাহাড়ে চলছে চাঁদাবাজদের তান্ডব। তিন পার্বত্য যেলায় প্রতিদিন হচ্ছে কোটি টাকার চাঁদাবাজি। এসব হচ্ছে বিভিন্ন সংগঠনের নামে। এ চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন বাঙালী, পাহাড়ী সকলেই। প্রতি বছর পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) ১২০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি করে থাকে বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় কমিটি জানতে পেরেছে। এছাড়াও জেএসএস, পান্ডুস পার্টিসহ ডজন খানেক সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি হচ্ছে। যেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, পাহাড়ে সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ডে ইউপিডিএফকে শতকরা ১০ ভাগ চাঁদা দেয়া বাধ্যতামূলক।

মামলার বয়স ৬১ বছর!

যশোরের জমিজমা সংক্রান্ত একটি মামলার বয়স দীর্ঘ ৬১ বছর। বছরের পর বছর ধরে মামলা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারী যশোর সাব জজ আদালতে ছিল চূড়ান্ত শুনানীর দিন। কিন্তু আইনী জটিলতায় মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে ২ মাস। যশোরের কোন আদালতে এ ধরনের দীর্ঘদিনের আটকে থাকা মামলা নেই।  জানা  গেছে, মামলাটি  হচ্ছে  যশোর  শহরের চৌরাস্তা মোড়ের রেল রোডের ২১ শতক জমির বিরোধ সংক্রান্ত। যার বাদী ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ সাহা। তার মৃত্যুর পর ছেলে মনিন্দ্রনাথ সাহা মামলা পরিচালনা করেন। তিনি মারা যাবার পর তার ছেলে প্রতাপ সাহা চালাচ্ছেন মামলা। বিবাদী ছিলেন একই এলাকার নগেন্দ্র ভূষণ। তারও ছেলের ছেলেরা এখন মামলা পরিচালনা করছেন।

বিদ্যুতের দাম বাড়ল

বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ৬ থেকে ৭ শতাংশ হারে। ১ মার্চ থেকে বর্ধিত দাম কার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল বাবদ বার্ষিক অতিরিক্ত ৩৬৯ কোটি টাকা গুণতে হবে। দেশের ৬২ শতাংশ বিদ্যুৎ গ্রাহকের ওপর মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়বে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী আবাসিক গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম ৪ থেকে ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পের বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ২১ থেকে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত। বাণিজ্যিক গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির হার শতকরা ৫ দশমিক ২৮ থেকে ৬ দশমিক ৫৮ ভাগ।

তামাক সেবনে দেশে প্রতি বছর মৃত্যু ৫৭ হাযার

বিড়ি-সিগারেটসহ তামাক সেবনের কারণে দেশে প্রতি বছর ৫৭ হাযার মানুষ মারা যায় এবং ৩ লাখ ৮২ হাযার মানুষ অকালে পঙ্গুত্ববরণ করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষে তামাকজাত দ্রব্যের দাম ও কর বাড়ানোর লক্ষে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

চাকমারা নিজের ঘরে আগুন দিয়ে বাঙালির দোষ দিচ্ছে

-থাঙ্গা পাঙ্খো

রাঙ্গামাটি যেলার বাঘাইছড়ি উপযেলার বিক্ষুব্ধ সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এল থাঙ্গা পাঙ্খো বলেছেন, চাকমারা নিজেরাই নিজেদের ঘর পুড়িয়ে বাঙালীদের দোষ দিচ্ছে। বাঘাইহাটের সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য চাকমাদের অতি বাড়াবাড়ি দায়ী বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। এল থাঙ্গা পাঙ্খো বলেন, গত ৪ মার্চ রাতে সাজেকের ভাইবোন ছড়ায় ছয়টি উপজাতির ঘর পুড়ে গেছে, সংবাদ এসেছে কে বা কারা পুড়িয়েছে। কিন্তু যারা অত্র এলাকার জনগণ বা প্রত্যক্ষদর্শী তারা প্রত্যেকেই জানে এই ঘটনায় চাকমারা নিজেরাই নিজেদের ঘর পুড়িয়েছে প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করার জন্য। তিনি বলেন, ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট)-এর ভয়ে কেউ সত্য কথা বলছে না।

কুরআন মাজীদ ও রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে এক শিক্ষকের কটূক্তি

গত ১৪ মার্চ মানিকগঞ্জ যেলার ঘিওরের ত্বরা জনতা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিত মজুমদার দশম শ্রেণীতে পড়ানোর সময় বলেন, ‘কুরআন শরীফ মানুষের বানানো সাধারণ একটি বই। হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) একজন অপবিত্র মানুষ। তার মায়ের বিয়ের ৬ মাস আগেই হযরত মুহাম্মাদের জন্ম হয়’। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীরা এর প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারী ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি বেত্রাঘাত করেন এবং স্কুল থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি জানাজানি হ’লে জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ফলে পরদিন সকাল ১১-টায় এএসপি সার্কেল নূরে আলমের উপস্থিতিতে সভায় প্রধান শিক্ষক সবার কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। তাকে সাময়িক বাহিষ্কার করা হয়।

ঢাবির নিহত মেধাবী ছাত্র আবূ বকর প্রথম; কী হবে এ ফল দিয়ে

অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাবিতে ভর্তি হয়েছিলেন মেধাবী ছাত্র আবূ বকর। ইচ্ছা ছিল ভাল রেজাল্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবেন। দরিদ্র্য বাবা-মার মুখে ফুটাবেন হাসি। কিন্তু তার সে স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবার পূর্বেই ১ ফেব্রুয়ারী রাতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলে নিজ কক্ষের বারান্দায় মাথায় আঘাত পান আবূ বকর। ৩ ফেব্রুয়ারী সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। দরিদ্র পরিবারের স্বপ্নের প্রদীপটি অমনি দপ করে নিভে যায়।

ঢাবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ সেমিষ্টারের ছাত্র ছিলেন আবূ বকর। ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে তিনি এ বিভাগে ভর্তি হন। গত ১৬ মার্চ সে সেমিস্টারের ফল প্রকাশিত হয়। আগের সব সেমিস্টারের ফল মিলিয়ে তিনি সহপাঠী নাজমার সঙ্গে যৌথভাবে প্রথম হয়েছেন। আবূ বকরের সর্বোচ্চ জিপিএ (৩.৫২) পাওয়ার খবরে অঝোরে কেঁদেছেন তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-সহপাঠীরা। আবূ বকরের বড় ভাই আববাস আলী বলেন, ‘শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল আবূ বকর। সর্বশেষ বিভাগীয় চূড়ান্ত পরীক্ষায় সে জিপিএ তিন দশমিক ৫২ পেয়ে প্রথম হ’ল। কিন্তু কী হবে এই ফল দিয়ে’?

মাত্র দুই সেট সোফার জন্য ভেঙ্গে গেল বিয়ে

বর পক্ষের যৌতুকের চাহিদা না মেটানোয় বিয়ের আগের দিন ভেঙ্গে গেল বিয়ে। জানা যায়, বড়লেখা পৌর শহরের মাইঝপাড়া গ্রামের মরহুম ছামাদ আলীর লন্ডন প্রবাসী পুত্র খলীলুর রহমানের বিয়ে ঠিক হয় কুলাউড়া মহিলা কলেজ রোডস্থ যুবাইর আহমাদের কন্যা সাজেদা আক্তার মুন্নার সঙ্গে। ২২ ফেব্রুয়ারী ছিল বিয়ের দিন। কনের বাবা অভিযোগ করেন ৭ লাখ টাকা মোহরানায় ২২ ফেব্রুয়ারী বিয়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে প্রচুর মালামাল পাঠানো হয় বরপক্ষের বাড়ীতে। ২১ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪-টার মধ্যে কনে পক্ষের কাছে যৌতুক হিসাবে অতিরিক্ত ২ সেট সোফা দাবী করা হয়। যদি না দেয়া হয় তবে বিয়ে হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়। কনেপক্ষের যৌতুকের দাবীটি মেনে না নেয়ায় বিয়ে ভেঙ্গে যায়। আনন্দঘন আয়োজন রূপ নেয় বিষাদে।

 

বিদেশ

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী মেক্সিকোর স্লিম

মেক্সিকোর টেলিকম ব্যবসায়ী ৭০ বছর বয়সী কার্লোস স্লিম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী। তার সম্পদের পরিমাণ ৫ হাযার ৩৫০ কোটি ডলার। গত বছর তার অর্থের পরিমাণ ছিল ১ হাযার ৮৫০ কোটি ডলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিল গেটস। তার সম্পদের পরিমাণ ৫ হাযার ৩শ’ কোটি ডলার। আর ৪ হাযার ৩শ’ কোটি ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন গেটসের বন্ধু ওয়ারেন বাফেট। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ভারতের মুকেশ আম্বানি ও লক্ষ্মী মিত্তল। ‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনের জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ফোর্বস জানায়, তালিকায় ১ হাযার ১১ ধনকুবের রয়েছেন, যারা ১শ’ কোটি ডলারের চেয়ে বেশী সম্পদের মালিক। ২০১০ সালের ধনীদের তালিকায় এশিয়া থেকে স্থান পেয়েছেন মোট ২৩৪ জন। পক্ষান্তরে ইউরোপীয় ধনীর সংখ্যা হ’ল ২৪৮ জন। আর শহরগুলোর মধ্যে সেরা ধনীদের বসবাসের দিক থেকে প্রথম নিউইয়র্ক (৬০ জন), দ্বিতীয় মস্কো (৫০ জন) ও তৃতীয় স্থানে লন্ডন (৩২ জন)।

মহানবীকে নিয়ে কার্টুন প্রকাশের জন্য ক্ষমা চাইল ডেনমার্কের পত্রিকা

ডেনমার্কের পত্রিকা পলিতিকান অবশেষে ক্ষমা চেয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর কার্টুন পুনঃপ্রকাশ করে মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কারণে ক্ষমা চাইলেও পলিতিকান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঐ কার্টুন ছাপার জন্য তারা অনুতপ্ত নয়। মহানবী (ছাঃ)-এর ব্যঙ্গচিত্র ছাপানো ডেনমার্কের পত্রিকার মধ্যে পলিতিকানই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইল। মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী আটটি সংগঠনের সঙ্গে এক চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ ঘোষণা দেয়।

সুইডিস পত্রিকায় আবারো মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ :

এদিকে সুইডেনের শীর্ষ সংবাদপত্রগুলো গত ১০ মার্চ মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র সম্বলিত একটি কার্টুন ছেপেছে। এতে রাসূল (ছাঃ)-এর দেহকে কুকুরের দেহ বানানো হয়েছে। ২০০৭ সালের আগষ্টে লার্স ভিল্কস সর্বপ্রথম সুইডেনের একটি আঞ্চলিক সংবাদপত্রে ঐ ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে। সম্প্রতি সুইডেনের পত্র-পত্রিকায় সেটি পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে।

ছেলেরা উত্যক্ত করায় ভয়ে স্কুলে যাচ্ছে না জাপানী রাজকুমারী

ছেলেরা উত্যক্ত করায় ভয় পেয়ে কয়েকদিন ধরে স্কুলে যাচ্ছে না জাপানের রাজকুমারী আইকো। রাজপরিবারের মুখপাত্র ইসেই নোমুরা জানান, গত ২ মার্চ মঙ্গলবার স্কুল থেকে আগেভাগে ফিরে এসে আইকো (৮) জানায়, তার পেটব্যথা করছে। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অন্য শ্রেণীর ছেলেরা তাকে উত্যক্ত করার ফলে সে স্কুলে যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, জাপানের সম্রাট আকিহিতোর বড় ছেলে যুবরাজ নরুহিতো ও তাঁর স্ত্রী মাসাকোর মেয়ে আইকো। সে টোকিওর গাকুসুইন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

ব্রিটেনে বিনোদনে অপচয় ৫২০০ কোটি পাউন্ড

ব্রিটেনের অধিকাংশ মানুষই শত কোটিরও বেশী পাউন্ড খরচ করেন টিভি, এমপি-থ্রি প্লেয়ার, রেডিওর মত বিভিন্ন সৌখিন খাতে। অথচ তাদের বেশীরভাগই সেসব যন্ত্র ঠিকমতো ব্যবহার করতে জানেন না। ‘স্কাইএইচডি’ নামের একটি জরিপ প্রতিষ্ঠানের জরিপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিপুলসংখ্যক এইচডি টেলিভিশনের মালিক জানেন না যে, এমন টেলিভিশনে ঝকঝকে ছবি উপভোগ করতে ডিভিডি প্লেয়ার অথবা এ জাতীয় এইচডি প্লেয়ারের সঙ্গে তা যুক্ত করতে হয়। জরিপে আরো জানা গেছে, একজন ব্রিটিশ প্রায় ৩ হাযার পাউন্ড সমমূল্যের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর মালিক। হিসেব করে দেখা গেছে, পূর্ণ ব্যবহার না করলে ব্রিটিশরা বিভিন্ন পণ্যের মেলায় অতিরিক্ত ৫২শ’ কোটি ৬ পাউন্ডের সমপরিমাণ অপচয় করছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তীন রাষ্ট্র অপরিহার্য

-মনমোহন সিং

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার জন্য স্বাধীন ফিলিস্তীন রাষ্ট্র অপরিহার্য। সঊদী শূরা কাউন্সিলের সদস্যদের উদ্দেশ্যে ৪ মার্চ মনমোহন সিং বলেন, এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য স্বাধীন ফিলিস্তীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেয়ে আর কোন কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তীনের সাহসী জনগণের স্বাধীন, সার্বভৌম ও স্থায়ী ফিলিস্তীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ন্যায়সঙ্গত, বৈধ ও জাতিগত অধিকারকে অস্বীকার করা হচ্ছে।

ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কে জ্যাক স্ট্র মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন

-হ্যান্স ব্লিক্স

সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্র ব্রিটেনের ইরাক যুদ্ধে যোগদান সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মিথ্যা কথা বলেছিলেন। ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেনের যোগদান করা সঠিক ছিল কি-না একটি তদন্ত কমিটি তা খতিয়ে দেখছে। ঐ তদন্ত কমিটির কাছে জ্যাক স্ট্র ভুল তথ্য দেন। জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শক হ্যান্স ব্লিক্স এ কথা জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, স্ট্র জানিয়ে ছিলেন যে, ২০০২ সালে ইরাকের কোন কোন স্থানে জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শকদের পরিদর্শনের অনুমতি দেয়নি তদানীন্তন সাদ্দাম হোসেন সরকার। একথাটি ছিল একেবারেই ভুল। কেননা সে সময় ইরাকের সর্বত্র পরিদর্শনের ব্যাপারে অস্ত্র পরিদর্শকদের অনুমতি দেয়া হয়েছিল।

ইসরাঈলে দু’টি মসজিদকে ইহুদী স্থাপনা ঘোষণা : বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ

সম্প্রতি ইসরাঈলী প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু হেবরনের আল-খালীলের ইবরাহীমী মসজিদ ও বেথলেহেমের বিলাল মসজিদকে ইহুদীদের তথাকথিত ১৫০টি পুরাকীর্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে সেগুলো সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারী নেতানিয়াহু যখন এ সংক্রান্ত তার প্রথম পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন, তখন এই দু’টি মসজিদের কথা ছিল না। কিন্তু ডানপন্থী মন্ত্রীদের চাপে নেতানিয়াহু তার পরিকল্পনা বদল করে মসজিদ দু’টিকে তাতে শামিল করেন। ইহুদী চরমপন্থীরা এ স্থান দু’টিকে কেভ অব প্যাট্রিয়াচ ও র‌্যাচেল হিসাবে দাবী করেছে। ‘ইসলামী সম্মেলন সংস্থা’ (ওআইসি) এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। জর্ডান ও আরব বিশ্বও এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন কাজ পরিহার করার জন্য ইসরাঈলের প্রতি আহবান জানায়।

বছরে ৬ হাযার আফগান শিশু পাড়ি জমাচ্ছে ইউরোপে

আফগানিস্তান থেকে শিশু অভিবাসীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে। তাদের মতে, বর্তমানে বছরে ৬ হাযার শিশু আফগানিস্তান থেকে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছে। কয়েক বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৩ হাযার ৮শ’। শতকরা হারে এখন তা দাঁড়িয়েছে ৬৪ শতাংশে। জানা গেছে, অভিবাসী আফগান শিশুরা প্রথমে পাকিস্তান হয়ে ইরানে যায়। পরে ইরান থেকে তুরষ্ক হয়ে তারা ইউরোপে পাড়ি জমায়।

বিশ্বে অস্ত্রভান্ডারের প্রবৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনক

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এমআইপিআরআই) জানিয়েছে, অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও গত পাঁচ বছরে বিশ্বে অস্ত্র ব্যবসার হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন দেশের মারণাস্ত্রের মজুত ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ২০১০ সালের এ প্রতিবেদন মতে, ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে অস্ত্রের মজুত বৃদ্ধির হার ২০০০ থেকে ২০০৪ সালের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশী। অস্ত্র রফতানীকারক দেশগুলোর মধ্যে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে আছে যথারীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩০%) এবং রাশিয়া (২২%)। এর পরের স্থানের দেশগুলো হচ্ছে জার্মানী, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ সর্বমোট অস্ত্রের শতকরা ৭৬ ভাগ রফতানী করে থাকে। অস্ত্রের প্রধান ক্রেতার মধ্যে সর্বপ্রথমে আছে চীন (৯%), দ্বিতীয় স্থানে ভারত ৭%)। তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে আছে যথাক্রমে দক্ষিণ কোরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। পঞ্চম স্থানে আছে গ্রিস।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সমরাস্ত্রের তালিকায় সবচেয়ে বেশী বিক্রি হচ্ছে অত্যাধুনিক জঙ্গীবিমান। ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শুধু জঙ্গীবিমানই বিক্রি হয়েছে মোট অস্ত্রবিক্রির ২৭ শতাংশ, যার মধ্যে মার্কিনীরা বিক্রি করেছে ৩৯ শতাংশ এবং রাশিয়া ৪০ শতাংশ।

এন্টার্কটিকার ৬০০ ফুট বরফের নীচেও প্রাণী

সম্প্রতি এন্টার্কটিকার ৬০০ ফুট বরফের নীচের প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন নাসার গবেষকরা। চিংড়ি জাতীয় এসব প্রাণী ও জেলি ফিশরা ঘুরে বেড়ায় বরফের তলদেশে। এন্টার্কটিকার বরফের তলদেশে ক্যামেরা ব্যবহার করে সম্প্রতি এ খোঁজ মিলেছে। প্রতিকূল পরিবেশে কিভাবে কোন প্রাণী টিকে থাকে এই গবেষণার ফলে সে বিষয়টি আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ তৈরী হ’ল বলেই মনে করছেন গবেষকরা।






আরও
আরও
.