স্বদেশ
পাবনায় বিপুল গ্যাস ও তেল মজুদের সম্ভাবনা
পাবনার একমাত্র মোবারকপুর গ্যাসফিল্ড প্রকল্পের খনন কাজ আবার শুরু হয়েছে জরিপের ৩৪ বছর পর। গত ২২শে আগস্ট গ্যাসফিল্ড প্রকল্পের খনন কাজ উদ্বোধন করা হয়। ১ হাযার বিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস এবং ২১ লাখ ব্যারেল তেল মজুদের অনেক বড় আশা নিয়ে এই কূপ খননের উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনছূর। প্রাপ্ত গ্যাস দেশের উত্তরাঞ্চলের পুরো চাহিদার প্রায় অনেকটাই পূরণ হবে বলে ‘বাপেক্স’ সূত্রে জানা যায়।
বাংলাদেশে দিনে ২৮টি আত্মহত্যা
বাংলাদেশে
গত চার বছরে প্রতিদিন গড়ে ২৮ জন আত্মহত্যা করেছে। শুধু গত বছর ফাঁসিতে
ঝুলে ও বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে ১০ হাযার ১২৯ জন। এ তথ্য জাতীয় মানসিক
স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও পুলিশ সদর দপ্তরের। যারা আত্মহত্যা করেছে বা চেষ্টা
করেছে, তাদের বড় অংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে ১৫-৪৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর প্রধান
তিনটি কারণের একটি হ’ল আত্মহত্যা। চিকিৎসকেরা বলছেন, যারা আত্মহত্যা করে
তাদের ৯৫ ভাগই কোন না-কোন গুরুতর মানসিক রোগে ধারাবাহিকভাবে ভোগে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ক্যাথলিক যাজকের ইসলাম গ্রহণ
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রভাবশালী ক্যাথলিক ধর্মযাজক কার্ডিনাল থিওডোর ম্যাককারিক ইসলাম গ্রহণ
করেছেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ওয়াশিংটনের আর্চবিশপ হিসাবে
দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সালে তিনি ক্যাথলিকদের শীর্ষস্থানীয় ধর্মযাজক বা
কার্ডিনাল পদে উন্নীত হন। গত ১০ই সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে
পরোক্ষভাবে তিনি ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। ‘মুসলিম পাবলিক অ্যাফেয়ার্স
কাউন্সিল’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান তিনি শুরু করেন ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’
পাঠ করে।
ম্যাককারিক বলেন, ক্যাথলিক ধর্মের সামাজিক শিক্ষা হচ্ছে
মানবিক মর্যাদা। আপনি যদি কুরআন অধ্যয়ন করেন অথবা ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করেন
তবে দেখবেন যে, মুহাম্মাদ (ছাঃ) এটাই শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা
সবাই খারাপের বিরুদ্ধে, হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে এবং ধ্বংসের বিরুদ্ধে। আল্লাহ
এই কাজে আপনাদের সহায়তা করুন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ইসলাম
এমন একটা ধর্ম যা সকল মানুষকে সাহায্য করে, তাদেরকে হত্যার নির্দেশ দেয়
না’।
ইসলাম গ্রহণ সঊদী আরবে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি
-মার্কিন পাইলট
সঊদী
আরবে মাত্র এক মাস ধর্মীয় পরিবেশে হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম
গ্রহণ করেছেন মার্কিন ব্যবসায়ী ও বিমানচালক রিচার্ড প্যাটারসন। এখন তার নাম
আব্দুল আযীয। যরূরী রোগী সেবার একটি অভিজাত কোম্পানীর মালিক তিনি। আব্দুল
আযীয বলেন, ‘আমি সঊদী আরবে এসেছিলাম ব্যবসায়িক কারণে। কিন্তু আমি ইসলাম
ধর্ম গ্রহণ করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর সাথে আমার জীবনের সেরা ব্যবসাটি
করেছি। তিনি যখন নিজ দেশে ছিলেন, তখন টিভি চ্যানেলগুলোতে ইসলাম সম্পর্কে
অনেক নেতিবাচক কথা শুনতেন। এগুলোর উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের আসল চিত্র বিকৃত
করা। অথচ সঊদী আরবের ধর্মীয় সমাজই তাকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ করেছে বলে জানান
তিনি।
বিমানে যরূরী রোগী বহনে ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দিতে সঊদী রেড
ক্রিসেন্টের সাথে এক মাসের চুক্তিতে সঊদী আরব আসেন তিনি এবং এক পর্যায়ে
ইসলাম গ্রহণ করেন।
গর্ভবতী নারীদের রক্তে মাত্রাতিরিক্ত সীসার উপস্থিতি
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদে গর্ভবতী নারীদের রক্তে মাত্রাতিরিক্ত সীসার পরিমাণ শনাক্ত করা গেছে। এই সীসার উৎস হচ্ছে ফসলী জমিতে ব্যবহৃত বালাইনাশক ও কীটনাশক পদার্থ। এছাড়া টিনজাত খাবার ও রাইস মিলের চাল ব্যবহারকারীদের রক্তে সীসার মাত্রা বেশী পাওয়া গেছে। সীসা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ রহিত করে, ফলে শিশুদের বুদ্ধি ও স্বাভাবিক জ্ঞান লাভের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়। তাছাড়া সীসা একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের হৃৎপিন্ড ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গত ২১ আগস্ট ‘বাংলাদেশের সীসা দূষণ পরিস্থিতি : একটি গবেষণা প্রতিবেদন’ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে এসব তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. স্টিভ লুবি। অধ্যাপক ড. স্টিভ লুবি, আইসিডিডিআরবি ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে এই গবেষণাটি সম্পন্ন করেছে।
অধ্যাপক ড. স্টিভ লুবি আরও জানান, গবেষণায় দেখা গেছে ৪৬ ভাগ মহিলার রক্তে সীসার স্বাভাবিক মাত্রা অতিক্রম করেছে। যারা কীটনাশক ব্যবহার, টিনজাত খাবার ও রাইস মিলের চাল ব্যবহার করে তাদের রক্তে সীসার মাত্রা বেশী পাওয়া গেছে। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার বাজারে বিক্রি হওয়া চালেও সীসার পরিমাণ অনেক বেশী।
বিদেশ
৩০ বছর জেল খাটার পর নির্দোষ প্রমাণিত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ৩০ বছর কারাভোগের পর ডিএনএ পরীক্ষায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে মুক্তি পেয়েছে দুই ভাই। নর্থ ক্যারোলাইনায় ১১ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ১৯৮৪ সালে দন্ডিত হয় হেনরী ম্যাককলাম (৫০) ও লিওন ব্রাউন (৪৬)। ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত ডিএনএ নমুনার সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা যায়, ঘটনায় আরেক ব্যক্তি জড়িত। একই ধরনের অপরাধে সেও কারাগারে আছে। এ ঘটনার পর গত ২রা সেপ্টেম্বর নিরপরাধ দুই ভাইকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তির নির্দেশ দেন আদালত।
ব্রাউনের আইনজীবী অ্যান কারবী বলেন, এটি একটি বিয়োগান্তক ঘটনা। এতে শুধু ঐ দু’ব্যক্তির জীবনের চরম ক্ষতিই হয়নি, বরং আমাদের নর্থ ক্যারোলাইনার বিচারব্যবস্থার উপরও চরমভাবে আঘাত হেনেছে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর গ্রেফতার হয়ে চাপের মুখে দু’ভাই পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। তবে পরে আদালতে তা প্রত্যাহার করে নেন। তারপরও তারা দোষী সাব্যস্ত হন। একজন যাবজ্জীবন অপরজন মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত হন। কিন্তু তারা উভয়েই নিজেদের নির্দোষ দাবী করে আসছিলেন। ২০১০ সালে নর্থ ক্যারোলাইনার ইনোসেন্স ইনকোয়ারী কমিশন দু’ভাইয়ের মামলাটি তদন্তের জন্য গ্রহণ করে। অবশেষে প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হয়।
‘আইএস’-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ওবামার
অভিযানের ব্যাপারে ১০টি আরব দেশের সাথে চুক্তি
কথিত ইসলামিক স্টেট বা ‘আইএস’-কে প্রতিহত করতে ইরাক ও সিরিয়াতে বিমান হামলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা ইতিমধ্যেই দখল করে নিয়েছে ইসলামিক স্টেট। সিরিয়ার শহর রাকায় তারা এক ধরনের সরকারী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানকার প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানোসহ নতুন কর্মকর্তাও নিয়োগ দিচ্ছে সংগঠনটি। মার্কিন দুই সাংবাদিক ও বৃটিশ এক সাংবাদিকসহ বিরোধী পক্ষের মানুষজনকে শিরশ্ছেদ করে হত্যার মতো কার্যক্রমের জন্য ব্যাপক নিন্দিত হয়েছে ইসলামিক স্টেট।
এদিকে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিরুদ্ধে নতুন সামরিক অভিযানে সমর্থন দেয়ার জন্য আরব মিত্রদের সঙ্গে সমন্বিত সামরিক অভিযান সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সঊদী আরবের জেদ্দায় আলোচনা শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ১০ আরব রাষ্ট্রের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হন। মিসর, ইরাক, জর্দান, লেবানন, সঊদী আরব ও কাতারসহ ছয় উপসাগরীয় রাষ্ট্রের সমর্থন পায় যুক্তরাষ্ট্র। এই ১০ আরব রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বিত সামরিক অভিযানের মাধ্যমে আইএস-এর কাছ থেকে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার ব্যাপারে সম্মত হয়। অনারব সুন্নী মতাবলম্বী শক্তিশালী দেশ তুরস্কও এই আলোচনায় অংশ নিয়েছে। তবে তুরস্কের প্রতিনিধি জেদ্দায় কোন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি।
ভারতের পরমাণু কেন্দ্রের ৭০ ভাগ কর্মীর মৃত্যুর জন্য দায়ী ক্যান্সার
বিশ্বে পরমাণু বোমার চেয়েও এখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রে কাজ করার ঝুঁকি। এতে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী কত লোক মারা যাচ্ছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। আর থাকলেও তা প্রকাশ করা হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রে ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে একটি লোমহর্ষক খবর পাওয়া গেছে। ভারতের ১৯টি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে গত ২০ বছরে স্বাস্থ্যগত কারণে ৩,৮৮৭ ব্যক্তি মারা গেছেন। এদের মধ্যে ২,৬০০ জন অর্থাৎ ৭০ শতাংশই মারা গেছেন ক্যান্সারে। ভারতের তথ্য অধিকার আইন বা আরটিআইয়ের আওতায় এ তথ্য সংগ্রহ করেছেন ভারতের মানবাধিকার কর্মী চেতন কোঠারী। দেশটিতে বার্ষিক মৃত্যুর ৭ শতাংশ তথা ৯৫ লাখ মানুষ মারা যায় ক্যান্সারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বলেন, সাধারণভাবে ক্যান্সারকে বৃদ্ধ বয়সের অসুখ হিসাবে মনে করা হয়। কিন্তু চাকরিরত অবস্থায় তথা ৬০ বছরের নীচে এত বেশী মানুষ ক্যান্সারে মারা গেলে বিষয়টি উদ্বেগজনক হিসাবেই নিতে হবে।
[পাবনার রূপপুরে পরমাণু গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের ব্যাপারে বাংলাদেশ রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। যে রাশিয়া নিজেই ভূপালের চেরনোবিল পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রের নিরাপত্তা সামলাতে না পারায় হাযার হাযার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। অতএব ঐরূপ আত্মঘাতি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন (স.স.)]
দুনিয়া জুড়ে লড়াই যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের খন্ডচিত্র
-পোপ ফ্রান্সিস
ক্যাথলিক প্রধান পোপ ফ্রান্সিস গত ১৩ই সেপ্টেম্বর ইতালীর উত্তরে রেদিপাগলিয়ায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত লক্ষাধিক সেনার জন্য তৈরী স্মৃতিসৌধে প্রদত্ত বক্তব্যে বলেন, দুনিয়া জুড়ে লড়াই চলছে। মনে হয় যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের খন্ডচিত্র। তাই তার আর্জি, এবার লড়াইয়ে ক্ষান্ত দিক সব পক্ষই। তিনি বলেন, যুদ্ধ জিনিসটাই পাগলামী ও অযৌক্তিক। এতে রীতিমতো পরিকল্পনা করে ধ্বংস ডেকে আনা হয়। পোপের অনুরোধ, এবার থামা দরকার। তিনি বলেন, অনেকে শান্তির কথা বলে যুদ্ধ করছে, ধ্বংস ও গণহত্যা চালাচ্ছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। যুদ্ধকে অমানবিক উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধ শুধু ধ্বংস ডেকে আনে। লোভ, অসহিঞ্চুতা এবং ক্ষমতার লোভ যুদ্ধের ইন্ধন জোগায়’। তবে অভিজ্ঞমহলের ধারণা, পোপের আবেদনে কোন পক্ষই মত পাল্টাবে না। ফলে অদূর ভবিষ্যতে রক্তক্ষয় থামার সম্ভাবনা যে খুব কম, তা বেশ স্পষ্ট।