দেশের
কারাগারগুলোতে সকালের নাশতায় প্রায় ২০০ বছরের পুরনো মেন্যুতে পরিবর্তন
এনেছে সরকার। এখন থেকে সকালের নাশতায় কয়েদীদেরকে রুটি আর গুড়ের বদলে
সপ্তাহে একদিন দেওয়া হবে ভুনা-খিচুড়ি, একদিন সবজি-খিচুড়ি। বাকী পাঁচদিন
থাকবে রুটি। তবে তার সঙ্গে থাকবে একদিন হালুয়া ও বাকী চার দিন সবজি। গত
২১শে জুলাই’১৯ নাশতার নতুন এই মেন্যুর উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, বৃটিশ আমল থেকে শত বছরের রীতি ভেঙে এই কাজ করা হয়েছে। এছাড়া কারাবন্দীদের জন্য ৩৮টি ট্রেডের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা যেন কারামুক্তির পর দক্ষতার সাথে কোন কাজ করতে পারে। এছাড়া বন্দীরা যেন প্রিয়জনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া গতবছর থেকে দেশের কারাগার সমূহে বালিশ প্রদান কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় গত ২৫শে জুলাই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দীরা ঘুমানোর জন্য বালিশ পেয়েছেন। এতদিন ছিল দু’টি কম্বল। যার একটি বিছানো হ’ত। আরেকটি ভাজ করে মাথার নীচে বালিশ বানানো হ’ত। শীতকালে আরেকটি কম্বল বেশী দেওয়া হ’ত গায়ে দেওয়ার জন্য।
[কারা সংস্কার বিষয়ে আমাদের ২০ দফা প্রস্তাবনা দ্র. ‘কারা সংস্কারে আমাদের প্রস্তাব সমূহ’ সম্পাদকীয় ১৯/৮ সংখ্যা, মে ২০১৬ (স.স.)]