সন্তানদের
সময় দিতে ও কর্মস্থলে পর্দার খেলাফ হওয়ায় চাকুরী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর
নিয়েছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপযেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা জান্নাত-ই হুর
সেতু। গত ৩১ শে মার্চ ১০ বছরের চাকুরী জীবনের অবসান ঘটিয়ে সহকর্মীদের কাছ
থেকে বিদায় নেন তিনি। তার স্বামী সানোয়ার রাসেল একই পদে ঈশ্বরগঞ্জ উপযেলায়
কর্মরত। উক্ত নারী ব্যক্তিগত জীবনে তিন কন্যা সন্তানের জননী। এ ব্যাপারে
তিনি বলেন, সন্তানরা পিতা-মাতার স্নেহ-মমতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওদের
স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে কর্মস্থলে
পর্দার খেলাফ হচ্ছে। কারণ আমি যে চাকুরীটা করি সেখানে শুধু মহিলারাই কাজ
করেন না। সেখানে পুরুষরাও চাকুরী করেন। যে কারণে অনেক সময় পর্দার খেলাফ হয়।
আমাদের জীবনে উচ্চাকাঙ্ক্ষা না থাকায় তেমন কোনো চাহিদা নেই। তেমন আর্থিক
সংকটও নেই। এসব নানান দিক চিন্তা করেই চাকুরী ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ বিষয়ে তার স্বামী সানোয়ার রাসেল বলেন, সে খুব ধার্মিক। সব সময় পর্দা করে। সে হয়তো ব্যক্তিগতভাবে কর্মস্থলে তার মতো করে পর্দা করতে পারছে না। আমি তার এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, সম্প্রতি কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যা প্রবণতা যেভাবে বাড়ছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তানকে সময় দিতে চাকুরী থেকে অবসর নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
[উক্ত মহিলাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। আমরা মনে করি সহশিক্ষা ও সহচাকুরী অবশ্যই বাতিল হবে স্বভাবগত ভাবেই। সরকারের প্রতি আমাদের দাবী, ছেলে ও মেয়েদের পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা ও পৃথক কর্মস্থল নিশ্চিত করুন (স.স.)]