চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে অভাবের তাড়নায় ওমর ফারূক নামের ১৭ দিন বয়সী এক নবজাতককে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে পরিবারের দাবী বিক্রি নয়, নবজাতককে দত্তক দেওয়া হয়েছে। শিশুটি ফার্নিচার মিস্ত্রী মো. সেলিম ও গৃহবধূ মৌসুমী বেগম দম্পত্তির তৃতীয় সন্তান। তাদের ৫ ও ৩ বছর বয়সী ২ ছেলে মেয়ে আছে। তারা দরিদ্রতার কারণে স্বচ্ছলতার সাথে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না। এর মধ্যে সিজারের মাধ্যমে আরেকটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন মৌসুমী বেগম। কিন্তু টাকার অভাবে স্ত্রী ও নবজাতককে ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না সেলিম। ফলে সদ্য জন্ম নেওয়া নবজাতককে তার আপন খালা ফাতেমার কাছে দত্তক দেওয়া হয়েছে। ১৪ বছর যাবৎ খালা নিঃসন্তান থাকায় তিনি দত্তক দেয়ার জন্য বারবার অনুরোধ জানাতেন। তাই তৃতীয় সন্তানের জন্মের পর আর্থিক ও মানবিক কারণে এবং আত্মীয়তার দিক বিবেচনা করে সদ্য জন্ম নেওয়া নবজাতককে দত্তক দিয়ে দেন।