প্রাণঘাতী
এইডসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হারের দিক দিয়ে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে
বাংলাদেশের অবস্থান দশম। শীর্ষে আছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এইচআইভি নিয়ে কাজ
করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইডস সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। ইউএনএইডসের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে এইডসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রায় এক
হাযার ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। একই বছর ভারতে মারা গেছে ৬২ হাযার মানুষ। আর
এসময় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মারা যায় প্রায় ১ লাখ ৭০ হাযার জন। যদিও ২০১০
সালে এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪০ হাযারের বেশী। সংস্থাটির এ তালিকায় অবশ্য চীনকে
অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দেশটিতে গত বছর মৃত্যুর
সংখ্যা ৪ লাখ ৩০ হাযার থেকে ১৫ লাখের মতো হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন তথ্য
দেয় না চীন সরকার।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এশিয়ায় এইডসে অক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ইন্দোনেশিয়া, তৃতীয় থাইল্যান্ড, চতুর্থ ভিয়েতনাম, পঞ্চম মিয়ানমার, ষষ্ঠ মালয়েশিয়া, সপ্তম পাকিস্তান, অষ্টম কম্বোডিয়া, নবম অবস্থানে নেপাল। আর বাংলাদেশের সঙ্গে দশম স্থানে রয়েছে ফিলিপাইন।
ইউএনএইডসের প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, বর্তমানে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ৫১ লাখ মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত। অথচ চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পায় মাত্র ২৪ লাখ রোগী। আর এইচআইভির কারণে মৃত্যুতে সারা বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান তৃতীয়। এর আগে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়া।
[ইসলাম সঠিকভাবে মেনে চললে কোন মুসলিম ব্যক্তি এইডসে আক্রান্ত হ’তে পারে না। কেননা সমকামিতাই এর প্রধান কারণ। আর সমকামিতা নারী-পুরুষে ব্যভিচারের চাইতে মহা পাপ। এর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড। এই পাপের সুদূর প্রসারী ক্ষতির বিবেচনাতেই ইসলামে এই কঠোর শাস্তির বিধান ঘোষিত হয়েছে দেড় হাযার বছর পূর্বেই। অতএব হে মুসলিম! জাহান্নামকে ভয় কর! (স.স.)]