রাজশাহী ১০ ও ১১ই মার্চ মোতাবেক ২৫ ও ২৬শে ফাল্গুন বৃহস্পতি ও শুক্রবার :
‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে দু’দিন ব্যাপী ৩২তম বার্ষিক
তাবলীগী ইজতেমা ২০২২ রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া ট্রাক টার্মিনাল ময়দানে
সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফালিল্লা-হিল হাম্দ। ১ম দিন বাদ আছর তাবলীগী ইজতেমা’২২-এর সভাপতি মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব-এর
সভাপতিত্বে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়া বিভিন্ন যেলা থেকে ৭৫০ জনের
অধিক স্বেচ্ছাসেবক একদিন আগে থেকেই ইজতেমা ময়দানে দায়িত্ব পালন শুরু করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান :
বাদ আছর পবিত্র কুরআন থেকে অনুবাদসহ তেলাওয়াত করেন আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর মক্তব বিভাগের শিক্ষক ক্বারী আব্দুল আউয়াল। অতঃপর স্বাগত ভাষণ পেশ করেন তাবলীগী ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক এবং ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় গবেষণা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল লতীফ। অতঃপর উদ্বোধনী ভাষণ পেশ করেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। তিনি ইজতেমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা করেন। অতঃপর গত এক বছরে মৃত্যুবরণকারী দেশ ও প্রবাসী শাখা সমূহের নেতা-কর্মী ও উপদেষ্টাদের ২০ জনের নাম-পরিচয় উল্লেখ করেন ও তাদের সকলের রূহের মাগফেরাতের জন্য প্রাণ খোলা দো‘আ করেন। অতঃপর তিনি সকলকে শৃংখলা ও সহমর্মিতার সাথে ইজতেমার ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য বজায় রেখে এখানে দু’দিন অবস্থানের আহবান জানান। অতঃপর তিনি আল্লাহর নামে তাবলীগী ইজতেমার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য যে, ৩২ বছরের তাবলীগী ইজতেমার মধ্যে এবারেই প্রথম আগে থেকেই মুছল্লীদের ঢল নামে। ফলে বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকেই ইজতেমা ময়দানে ধারাবাহিকভাবে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শুরু হয়।
নির্ধারিত বক্তৃতা পর্ব :
উদ্বোধনের আগে থেকেই পূর্ব নির্ধারিত বিষয়বস্ত্ত সমূহের উপর ১ম দিন বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে বেলা ১১-টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বক্তব্য পেশ করেন যথাক্রমে (১) মারকাযের শিক্ষক মুুুুুুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম (রাজশাহী) (২) মারকাযের শিক্ষক হাফেয আব্দুল মতীন (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) (৩) রাজশাহী-পূর্ব সাংগঠনিক যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ যিল্লুর রহমান (রাজশাহী) (৪) রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি ও মারকাযের শিক্ষক ফায়ছাল মাহমূদ (সাতক্ষীরা) (৫) ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইহসান ইলাহী যহীর (কুমিল্লা) (৬) চট্টগ্রাম যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক আরজু হোসাইন ছাববীর (৭) জামালপুর-উত্তর যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল বিন আব্দুল গণী ও (৮) আব্দুল্লাহ আল-কাফী (সাতক্ষীরা)।
অতঃপর বাদ আছর মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের উদ্বোধনী ভাষণের পর রাত ২-টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বক্তব্য পেশ করেন যথাক্রমে (১) ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ ঢাকা-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার সভাপতি হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (বগুড়া) (২) ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম (রাজশাহী) (৩) ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব (মারকায) (৪) মারকাযের শিক্ষক মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম (রাজশাহী) (৫) গাযীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. ইমাম হোসাইন (৬) ‘আহলেহাদীছ ওলামা ও ইমাম সমিতি’-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (পাবনা) (৭) ড. আহসানুল্লাহ বিন ছানাউল্লাহ (ঢাকা) (৮) মাওলানা মুখলেছুর রহমান (নওগাঁ) (৯) সাতক্ষীরা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান (১০) নারায়ণগঞ্জ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা শফীকুল ইসলাম।
আমীরে জামা‘আতের ১ম দিনের ভাষণ :
এ দিন বাদ এশা মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সূরা ফাতিহার ৪র্থ আয়াতের উপর হেদায়াত বিষয়ে সারগর্ভ ভাষণ পেশ করেন।
২য় দিন বাদ ফজর থেকে :
২য় দিন বাদ ফজর ইজতেমা প্যান্ডেলে দরসে কুরআন পেশ করেন আহলেহাদীছ আন্দোলন, সঊদী আরব শাখার সহ-সভাপতি হাফেয আখতার মাদানী। একই সময়ে দারুলহাদীছ (প্রাঃ) বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে দরসে হাদীছ পেশ করেন ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ ওলামা ও ইমাম সমিতি’-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (পাবনা)। এ সময় ছোট মসজিদে দরসে কুরআন পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম (মেহেরপুর)।
অতঃপর ইজতেমা প্যান্ডেলে বেলা ১১-টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আলোচনা পেশ করেন যথাক্রমে (১) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন (সাতক্ষীরা) (২) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম (যশোর) (৩) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা দুর্রুল হুদা (রাজশাহী) (৪) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার (কুষ্টিয়া) (৫) মারকাযের শিক্ষক মুুুুুুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম (রাজশাহী) (৬) মাওলানা মুখলেছুর রহমান (নওগাঁ)। এরপর শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মাসিক ‘আত-তাহরীক’-এর সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ও মারকাযের শিক্ষক মুুুুুুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম (রাজশাহী)।
শিক্ষক সমাবেশ সকাল ৮-টা থেকে ৯-টা :
ইজতেমার ২য় দিন সকাল ৮-টায় আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর পূর্ব পার্শ্বস্থ ময়দানে ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ড’-এর উদ্যোগে ‘শিক্ষক সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের পক্ষে ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক দুর্রুল হুদা। ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন বোর্ডের সচিব ও মারকাযের শিক্ষক শামসুল আলম এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য পেশ করেন (১) ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা-এর আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক ও ইন-চার্জ মুহাম্মাদ জুনায়েদ মুনীর (২) আহসানিয়া মিশন আলিম মাদ্রাসা, সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপ্যাল ও দারুলহাদীছ আহমাদিয়া সালাফিইয়াহ, বাঁকাল, সাতক্ষীরার সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল মান্নান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন
(১) বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়ার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ড. নূরুল ইসলাম (২) দারুলহাদীছ আহমাদিয়া সালাফিইয়াহর প্রিন্সিপ্যাল সোহেল বিন আকবর (৩) একলারামপুর মাদ্রাসা মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়ার (কুমিল্লা) প্রধান শিক্ষক ও কুমিল্লা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জামীলুর রহমান। (৪) সালাফিইয়াহ একাডেমী কুলবাড়িয়া, মেহেরপুরের সুপার রাজীবুল হাসান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন বোর্ডের সহকারী পরিদর্শক মুহাম্মাদ ফেরদাঊস। সমাবেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, সভাপতি, প্রিন্সিপ্যাল, ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ও শিক্ষকমন্ডলীসহ অন্যান্য সুধীমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
‘কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য সম্মেলন’ সকাল ৯-টা থেকে ১১-৩০ :
২য় দিন শুক্রবার সকাল ৯-টা থেকে মারকাযের শিক্ষক মিলনায়তনে ‘কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়। মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন, কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য মাওলানা মানছূরুর রহমান (সভাপতি, কুষ্টিয়া-পশ্চিম)। স্বাগত ভাষণ দেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। অতঃপর কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্যদের নিকট থেকে সংগঠনের অগ্রগতি বিষয়ে পরামর্শ আহবান করা হয়। তাতে বিভিন্ন যেলা থেকে মোট ২৪ জন পরামর্শ প্রদান করেন।
অতঃপর দ্বিতীয় আলোচ্যসূচী অনুযায়ী প্রস্তাবিত দারুলহাদীছ বিশ্ববিদ্যালয় ও তাবলীগী ইজতেমা ময়দানের জন্য জমি ক্রয় প্রকল্প প্রসঙ্গে আলোচনায় সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্ব স্ব এলাকা থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলে সংকল্প ব্যক্ত করেন। অতঃপর আলোচ্যসূচী-৩ অনুযায়ী প্রস্তাবিত দারুলহাদীছ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য চূড়ান্তকরণ প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। এ সময় মজলিসে শূরার গৃহীত ৪নং সিদ্ধান্ত সবাইকে জানানো হয়। যেখানে বলা হয় যে, (ক) ১৯৯৪ সালে মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের প্রস্তাবিত ‘ইক্বরা বিসমে রবিবকাল্লাযী খালাক্ব’ সংযুক্ত মনোগ্রাম গ্রহণ। (খ) লক্ষ্য : তাওহীদ, রেসালাত ও আখেরাতের ভিত্তিতে নিম্নস্তর থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। (গ) উদ্দেশ্য : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে যুগ সমস্যার সমাধান দেওয়া। (ঘ) শরী‘আহ অনুষদ সহ মানবিক, বিজ্ঞান, বাণিজ্য, কৃষি, বন গবেষণা, সমুদ্র বিজ্ঞান ইত্যাদি বিভাগ সমূহ রাখা। অবস্থা ও প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিভাগ খোলা। সকল বিভাগ পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে পরিচালিত হওয়া। (ঙ) একটি পৃথক ‘কুরআন গবেষণা কেন্দ্র’ স্থাপন।
প্রস্তাবগুলি খুশীর সাথে সমস্বরে গৃহীত হয়। অনুষ্ঠানে মজলিসে ‘আমেলা ও শূরা সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের হেদায়াতী ভাষণের মাধ্যমে সম্মেলন সমাপ্ত হয়।
যুব সমাবেশ ২য় দিন সকাল ৯-টা থেকে ১২-টা :
২য় দিন শুক্রবার সকাল ৯-টা থেকে মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ ময়দানে ‘যুব সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে স্বাগত ভাষণ দেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম এবং উদ্বোধনী ভাষণ পেশ করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব। বক্তব্যে তিনি জামা‘আতবদ্ধ জীবনের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ইমারত ও বায়‘আতের বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদানকারী ও বায়‘আত ভঙ্গকারীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন (১) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম (মেহেরপুর)। (২) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম (যশোর)। (৩) কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম (মারকায)। (৪) যুব বিষয়ক সম্পাদক ও ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতার (কুষ্টিয়া)। (৫) ‘আন্দোলন’-এর শূরা সদস্য ও ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জালালুদ্দীন (নরসিংদী)। (৬) ‘আন্দোলন’-এর শূরা সদস্য মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম (খুলনা)। (৭) ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য মুুুুুুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম (মারকায)। (৮) ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইহসান ইলাহী যহীর (মারকায)। (৯) প্রচার সম্পাদক আসাদুল্লাহ (ঝিনাইদহ)।
অতঃপর যেলা দায়িত্বশীলদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন (১) সিলেট যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি আব্দুর রায্যাক। (২) বরিশাল যেলা সভাপতি কায়েদ মাহমূদ ইমরান। (৩) জামালপুর-উত্তর সাংগঠনিক যেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইসমাঈল। (৪) যশোর যেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম। (৫) ঢাকা-দক্ষিণ যেলা সভাপতি হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ। (৬) বগুড়া যেলা সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমীন। (৭) দিনাজপুর-পূর্ব যেলা সভাপতি রায়হানুল ইসলাম। (৮) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মুনতাছির আহমাদ। (৯) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মুছাদ্দিক। (১০) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি আব্দুর রঊফ।
সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব বলেন, তোমাদেরকে অবশ্যই সমাজ সংস্কারের লক্ষ্যে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবে, ঐক্যবদ্ধ যুবশক্তিই আহলেহাদীছ আন্দোলনের প্রাণশক্তি। আল্লাহ তোমাদেরকে সমাজ সংস্কারের গুরুদায়িত্ব পালনে সাহসের সাথে এগিয়ে যাওয়ার তাওফীক দান করুন! সমাবেশে ‘যুবসংঘে’র বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক কর্মী ও সুধীমন্ডলী অংশগ্রহণ করেন।
জুম‘আর খুৎবা :
ইজতেমা ময়দানে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত (আখেরাতের পুঁজি সঞ্চয় বিষয়ে) এবং মারকাযী জামে মসজিদে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ‘তাক্বওয়া’ বিষয়ে জুম‘আর খুৎবা প্রদান করেন। মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সূরা শূরা ২০ আয়াতের আলোকে আখেরাতের পাথেয় সঞ্চয়ের জন্য সকলের প্রতি প্রাণস্পর্শী আহবান জানান। এ সময় মূল প্যান্ডেল ছাড়াও প্যান্ডেলের বাইরে বিভিন্ন স্থানে ও মহাসড়কে বসে বিপুল সংখ্যক মুছল্লী খুৎবা শ্রবণ করেন।
২য় দিন বাদ আছর থেকে পরদিন ফজর পর্যন্ত :
এদিন আছরের ছালাতে ইমামতি করেন মারকাযের হিফয বিভাগের শিক্ষক হাফেয মশীউর রহমান। অতঃপর অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন, আব্দুল্লাহ ছাকিব (সিলেট; ছাত্র, মারকায; সূরা যুমার ৭৩-৭৪ আয়াত)। জাগরণী পেশ করেন, ইয়াকূব আলী (মেহেরপুর, অহি-র দাওয়াত নিয়ে...)।
অতঃপর নির্ধারিত বিষয়বস্ত্তর উপর বক্তব্য পেশ করেন (১) অধ্যাপক মুহাম্মাদ জালালুদ্দীন (নরসিংদী, ইমারত ও বায়‘আত)। (২) ক্বামারুয্যামান (জামালপুর-দক্ষিণ, দ্বীন কায়েমের সঠিক পদ্ধতি)। (৩) মারকাযের সাবেক ছাত্র ড. আব্দুল্লাহিল কাফী (চাঁপাই নবাবগঞ্জ, ক্বিয়ামতের আলামত সমূহ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট)। (৪) আবুল কালাম (জয়পুরহাট, আহলেহাদীছের পরিচয়)। অতঃপর মাগরিবের ছালাতে ইমামতি করেন, হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ। অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন, হাফেয আব্দুল আলীম (দিনাজপুর, সূরা লোকমান ৬-৯ আয়াত)। অতঃপর সম্মিলিত জাগরণী পেশ করেন আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যবৃন্দ (সত্যের সংগ্রাম করছি...)।
অতঃপর বক্তব্য পেশ করেন (৫) ড. নূরুল ইসলাম (মারকায, আলেমদের মধ্যে পারস্পরিক মতভেদ নিরসনের উপায়)। (৬) ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম (মারকায, মুমিন নারীদের কর্তব্য)। (৭) ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন (মারকায, আল্লাহর পথে ব্যয়)।
অতঃপর এশার ছালাতে ইমামতি করেন, হাফেয আখতার। জাগরণী পেশ করেন, আব্দুল্লাহ আল-মামূন (সাতক্ষীরা, গ্রাস করেছে...)। বৈঠকী দানের পর মীযানুর রহমান (জয়পুরহাট, তোমরা ভুলেই গেছ...)।
বাদ এশা (৮) মুহতারাম আমীরে জামা‘আত (সূরা বাক্বারাহর ২১৪ আয়াত অবলম্বনে মুক্তিপ্রাপ্ত দলের লোকদের পরীক্ষা)। (৯) হাফেয আখতার (নওগাঁ, ফিরক্বা নাজিয়াহ)। অতঃপর জাগরণী পেশ করেন, রোকনুয্যামান (সাতক্ষীরা, কে আসবি আয় তোরা...)। (১০) আব্দুল হাই (রাজশাহী, জাগ্রত জ্ঞান সহ আল্লাহর পথে দাওয়াত)। (১১) আব্দুল ওয়াদূদ (কুমিল্লা, জঙ্গীবাদ ও চরমপন্থা থেকে আত্মরক্ষার উপায়)। (১২) মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম (খুলনা, মাল ও মর্যাদার লোভ)। (১৩) আফযাল হোসাইন (নওগাঁ, সূদ ও ঘুষ : সমাজ দূষণের বড় হাতিয়ার)। (১৪) সাইফুল ইসলাম (ঢাকা-উত্তর, মৃত্যুকে স্মরণ)। (১৫) হাফেয শামসুর রহমান (ঢাকা-দক্ষিণ, জান্নাত পিয়াসীদের জন্য তওবার প্রয়োজনীয়তা)। (১৬) হাফেয আব্দুল আলীম (যশোর, গান-বাজনা ও তার পরিণতি)। অতঃপর জাগরণী পেশ করেন, হাফেয আব্দুল আলীম (দিনাজপুর)। সবশেষে ফজর পর্যন্ত (১৭) মাওলানা আবুবকর (রাজশাহী, বিদ‘আত ঘোরতর অপরাধ)।
বিদায়ী ভাষণ ও দো‘আ :
ইজতেমার শেষ দিন শনিবার ইজতেমার মূল প্যান্ডেলে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত-এর ইমামতিতে ফজরের জামা‘আত অনুষ্ঠিত হয়। ছালাত শেষে তিনি মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বিদায়ী ভাষণ দেন। অতঃপর সভাপতি হিসাবে তিনি সবাইকে পুনরায় ধন্যবাদ জানিয়ে মজলিস ভঙ্গের দো‘আ পাঠের মাধ্যমে দু’দিন ব্যাপী ৩২তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা ২০২২-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ইজতেমায় গৃহীত প্রস্তাব সমূহ :
২য় দিন বাদ এশা আমীরে জামা‘আতের ভাষণের পর ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম সরকারের নিকট নিম্নোক্ত প্রস্তাব ও দাবী সমূহ পেশ করেন এবং উপস্থিত সকলে হাত তুলে সমস্বরে সেগুলির প্রতি জোরালো সমর্থন জানান।-
(১) পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে দেশের আইন ও শাসন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে।
(২) মানুষের রক্তচোষা সূদভিত্তিক পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা বাতিল করে অনতিবিলম্বে ইসলামী অর্থনীতি চালু করতে হবে এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সূদী এনজিও ও মহাজনী দাদন প্রথা এবং সেই সাথে অফিস-আদালত থেকে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
(৩) দেশের বিভিন্ন শহরে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী আক্বীদা ও সংস্কৃতি বিরোধী মূর্তি-ভাস্কর্য ও শহীদ মিনার স্থাপন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
(৪) জঙ্গীবাদের মূলোৎপাটন এবং সামাজিক অনাচার সমূহ প্রতিরোধের জন্য শিক্ষার সর্বস্তরে বিশুদ্ধ ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
(৫) মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের সিলেবাস থেকে ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী বিবর্তনবাদ সহ সকল প্রকার ইসলাম বিরোধী মতবাদ প্রত্যাহার করতে হবে।
(৬) যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে মদ-জুয়ার অবাধ সয়লাব রোধ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার ছড়াছড়ি বন্ধ করতে হবে।
(৭) এ সম্মেলন বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বাদ দেওয়ার চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
(৮) এ সম্মেলন ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করে অবিলম্বে শান্তি ফিরিয়ে আনার জোর দাবী জানাচ্ছে।
(৯) এ সম্মেলন সরকারের প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য অসাধু মওজূদদারদের চক্রান্ত কঠোর হস্তে দমন করার আহবান জানাচ্ছে।
[প্রস্তাবগুলি ১৪.০৩.২০২২ রবিবার দৈনিক ইনকিলাব ৯ম পৃষ্ঠার ৫ম কলামে ইজতেমার বড় ছবিসহ প্রকাশিত হয়]।
ইজতেমার বিভিন্ন রিপোর্ট
১. পরিচালকবৃন্দ : দু’দিন ব্যাপী তাবলীগী ইজতেমার বিভিন্ন অধিবেশনে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন (১) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম (মেহেরপুর)। (২) সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম (যশোর)। (৩) প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন (মারকায)। (৪) সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক দুর্রুল হুদা (রাজশাহী) ও (৫) প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন (সাতক্ষীরা)।
২. উপস্থাপকবৃন্দ : (১) ড. নূরুল ইসলাম (মারকায)। (মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান (রাজশাহী) (২) কাযী হারূণুর রশীদ (ঢাকা)। (৩) আব্দুর রশীদ আখতার (কুষ্টিয়া)। (৪) আবুল কালাম (জয়পুরহাট)। (৫) ফয়ছাল মাহমূদ (মারকায)। (৬) আবু রায়হান (চাঁপাই নবাবগঞ্জ)।
৩. অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত : (১) হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির (মারকায)। (২) হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (বগুড়া)। (৩) ক্বারী আব্দুল আউয়াল (শিক্ষক, মক্তব বিভাগ, মারকায)। (৪) হাফেয আব্দুল আলীম (দিনাজপুর)। (৫) ক্বামারুল ইসলাম (ছাত্র, হিফয বিভাগ, মারকায)। (৫) আব্দুল্লাহ ছাকিব (ছাত্র, মারকায)। (৬) হাবীবুর রহমান (ছাত্র, মারকায)। (৭) ক্বারী আব্দুর রহীম (শিক্ষক, মক্তব বিভাগ, মারকায)।
৪. জাগরণী : আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য (১) মুহাম্মাদ মীযানুর রহমান (জয়পুরহাট)। (২) আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (বগুড়া)। (৩) আব্দুল্লাহ আল-মামূন (সাতক্ষীরা)। (৪) ইয়াকূব আলী (মেহেরপুর)। (৫) রাক্বীবুল ইসলাম (মেহেরপুর)। (৬) রোকনুযযামান (সাতক্ষীরা)। (৭) কেরামত আলী (পাবনা)।
৫. প্যান্ডেল : গতবারের ন্যায় এবারও মহিলা প্যান্ডেল হয়নি। এতদ্ব্যতীত মোট ৪টি প্যান্ডেল হয়। (১) ট্রাক টার্মিনালে মূল ময়দান (২) মহিলা মাদ্রাসা ময়দানে পুরুষ প্যান্ডেল (৩) মারকাযের পশ্চিম পার্শ্বের ময়দান। (৪) মারকাযের পূর্ব পার্শ্বের ময়দান। এছাড়াও ছিল বৃহদাকার খাদ্য প্যান্ডেল ও পৃথক খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্যান্ডেল।
৬. টয়লেট : ট্রাক টার্মিনালের পশ্চিম পার্শ্বে রাজশাহী-চাঁপাই হাইওয়ের উত্তর পার্শ্বস্থ ক্যানালে ৯৩টি ও দক্ষিণ পার্শ্বস্থ ক্যানালে ৮০টি সাময়িক এবং মহিলা মাদ্রাসায় ৩৫টি টয়লেট নির্মাণ করা হয়।
৭. বুক স্টল : ট্রাক টার্মিনালের দক্ষিণ পার্শ্বে ৩৬টি এবং মারকাযের সম্মুখে পূর্ব পার্শ্বে ৬টি ও পশ্চিম পার্শ্বে ২টি সহ মোট ৪৪টি বুক স্টল স্থাপন করা হয়।
৮. ড্রোন ক্যামেরা : গতবারের ন্যায় এবারও ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে ইজতেমার প্যান্ডেল ও মারকাযসহ অন্যান্য প্যান্ডেলগুলির ভিডিও ধারণ করা হয়। এলইডি মনিটরের মাধ্যমে ট্রাক টার্মিনাল থেকে সব প্যান্ডেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তাছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের হাযার হাযার শ্রোতা ইজতেমার সরাসরি সম্প্রচার দেখেন।
৯. জাতীয় গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা (অনলাইন) :
গত বছরের ন্যায় এবারও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর উদ্যোগে অনলাইনে ‘জাতীয় গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচিত গ্রন্থ ছিল মুহতারাম আমীরে জামা‘আত লিখিত ১. ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন ২. ইক্বামতে দ্বীন : পথ ও পদ্ধতি এবং ৩. ড. নাছের বিন সোলায়মান আল-ওমর লিখিত ও আব্দুল মালেক অনূদিত ইসলামী আন্দোলনে বিজয়ের স্বরূপ। এতে শীর্ষস্থান অধিকারী তিনজন হ’ল (১) হাফীযুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ, ছাত্র ৮ম শ্রেণী, মারকায)। (২) ইরফানুল ইসলাম (কুমিল্লা, ছাত্র, ছানাবিয়া ২য় বর্ষ, মারকায)। (৩) মুহাম্মাদ মুদ্দাছ্ছির ছাকিব (কুমিল্লা, সাবেক ছাত্র মারকায)।
এছাড়া বিশেষ পুরস্কার প্রাপ্ত ১০ জন হ’ল (১) মুহাম্মাদ আরীফুল ইসলাম (নওগাঁ)। (২) মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসাইন (সাতক্ষীরা)। (৩) মাহফূযুর রহমান (নওগাঁ)। (৪) সাজেদুর রহমান (দিনাজপুর)। (৫) আলমগীর হোসাইন (নওগাঁ)। (৬) মুহাম্মাদ জিহাদ আলী (নাটোর)। (৭) রায়হানুদ্দীন কবীর (দিনাজপুর)। (৮) শামসুয্যামান (সুনামগঞ্জ)। (৯) মা‘রূফা খাতূন (রাজশাহী)। (১০) মুহাম্মাদ ফায়ছাল (খুলনা)। ইজতেমার দ্বিতীয় দিন ‘যুব সমাবেশে’ বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা সনদ ও পুরস্কার তুলে দেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত।
১০. দেওয়াল পত্রিকা : তাবলীগী ইজতেমা’২২ উপলক্ষ্যে ‘সোনামণি’ মারকায এলাকার পক্ষ থেকে ‘সোনামণি প্রতিভা’ এবং ‘যুবঘংঘ’ মারকায এলাকার পক্ষ থেকে ‘ছওতুল মারকায’ নামে দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশিত হয়। যা ইজতেমা প্যান্ডেলের দক্ষিণ পার্শ্বস্থ বুক স্টলের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় প্রদর্শিত হয়।
১১. ফৎওয়া বুথ : গত বছরের ন্যায় এবারও ফৎওয়া বুথের ব্যবস্থা করা হয়। আত-তাহরীক কার্যালয়ে স্থাপিত ফৎওয়া বুথে বিভিন্ন যেলা থেকে আগত কর্মী ও সুধীবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ‘দারুল ইফতা’র সদস্য মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম। ইজতেমার ১ম ও ২য় দিন বাদ আছর থেকে রাত ১২-টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।
১২. আল-‘আওন : ইজতেমা ময়দানে ‘স্বেচ্ছাসেবী নিরাপদ রক্তদান সংস্থা আল-‘আওনে’র ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পিংয়ে ১০৬ জনের ব্ললাড গ্রুপিং করা হয় এবং ৯৪ জন ডোনর তালিকাভুক্ত হন। উক্ত ক্যাম্পিংয়ে কেন্দ্রসহ বিভিন্ন যেলার দায়িত্বশীলগণ অংশগ্রহণ করেন।
১৩. যরূরী চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র : ট্রাক টার্মিনাল ময়দানের পূর্ব পার্শ্বে এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক দু’টি পৃথক যরূরী চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সংগঠনের চিকিৎসক কর্মীগণ সেখানে ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করেন। ইজতেমা কমিটির পক্ষ থেকে এসব কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সরবরাহ করা হয়।
১৪. নিরাপত্তা : প্রশাসনের প্রস্তাবক্রমে ১টি ওয়াচ টাওয়ার ও ২৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। সেই সাথে সংগঠনের ৭৫০ জনের অধিক স্বেচ্ছাসেবক দু’দিন আগে থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে। এছাড়াও ছিল পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণের নিয়মিত তদারকি।
১৫. যানবাহন : অন্যান্য বারের ন্যায় এবারও বিভিন্ন যেলা থেকে মুছল্লীগণ বাস, ট্রেন, মাইক্রো, বিমান ও অন্যান্য যানবাহনে করে ইজতেমায় আগমন করেন। এবারে বিভিন্ন যেলা থেকে আগত মোট বাসের সংখ্যা ২৯২টি ও মাইক্রোর সংখ্যা ১২টি। সবচেয়ে বেশী বাস আসে সাতক্ষীরা থেকে ৬৩টি ও বগুড়া থেকে ৫০টি। এছাড়া ভারত, সঊদী আরব, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কুয়েত, কাতার সহ অন্যান্য দেশ থেকে সদ্য দেশে ফেরা অনেক প্রবাসী কর্মী ও সুধী ইজতেমায় যোগদান করেন।
১৬. সাইকেলে আগমন : অন্যান্য বারের ন্যায় এবারও সাইকেলযোগে ইজতেমায় যোগদান করেন সাতক্ষীরা সদর উপযেলার কাওনডাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আবেদীন (৮৪)। এবার নিয়ে তিনি পরপর ১৯ বছর যাবৎ সাড়ে ২১ ঘণ্টায় দীর্ঘ ৩০০ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে নিজেই সাইকেল চালিয়ে আসেন।
১৭. জানাযা : ইজতেমার দ্বিতীয় দিন বাদ জুম‘আ ইজতেমার মূল স্টেজে ছালাতের পর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত অদ্য সকাল সাড়ে ৯-টায় মারকাযের নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে মৃত্যুবরণকারী রংপুর যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক হেলালুদ্দীনের জানাযায় ইমামতি করেন। জানাযায় উপস্থিত লাখো মুছল্লী মাইয়েতের জন্য খালেছ অন্তরে দো‘আ করেন।
ইজতেমা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অনুষ্ঠান সমূহ
১. আল-‘আওন : তাবলীগী ইজতেমা ২০২২ উপলক্ষ্যে ৯ই মার্চ বুধবার সকাল ১০-টা থেকে এশা পর্যন্ত আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফীর পূর্ব পার্শ্বস্থ ভবনের ৩য় তলার হল রুমে কেন্দ্রীয় ‘আল-‘আওনে’র উদ্যোগে যেলা দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। ‘আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ জাহিদ। উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন নারায়ণগঞ্জ যেলা ‘আল-‘আওনে’র সভাপতি ডা. আ.ন.ম. সাইফুল ইসলাম নাঈম। অন্যান্যের মধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর নূর, ‘আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ নাবীল, প্রচার সম্পাদক দেলাওয়ার হোসাইন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মাদ শাহীন ও দফতর সম্পাদক শরীফুল ইসলাম। প্রশিক্ষণে ১৩টি যেলা থেকে ২৮ জন দায়িত্বশীল উপস্থিত ছিলেন।
২. সোনামণি র্যালি : তাবলীগী ইজতেমা’২২ উপলক্ষ্যে ‘সোনামণি’ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে ৯ই মার্চ বুধবার বাদ আছর থেকে সোনামণি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি মারকায থেকে শুরু হয়ে মহাসড়ক ধরে পূর্ব দিকে নতুন বাস-টার্মিনালে যায়। সেখান থেকে দক্ষিণ দিকে ভাঁড়ালীপাড়া হয়ে শিশু পার্ক দিয়ে পোস্টাল একাডেমী হয়ে নওদাপাড়া বাজারে যায়। সেখান থেকে মধ্য নওদাপাড়ার ভিতর দিয়ে ট্রাক টার্মিনালে যায়। সেখান থেকে রাজশাহী-ঢাকা বাইপাস মহাসড়ক দিয়ে মারকাযে ফিরে আসে।
৩. ইসলামী জাগরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২২ :
৯ই মার্চ বুধবার বাদ মাগরিব থেকে রাত সাড়ে ১০-টা পর্যন্ত মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ ময়দানে ‘ইসলামী জাগরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় পরিচালক মুহাম্মাদ আজমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, শূরা সদস্য কাযী হারূণুর রশীদ, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ডের সচিব শামসুল আলম, রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা দুর্রুল হুদা, উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট জারজিস আহমাদ প্রমুখ। অতিথিগণ স্ব স্ব ভাষণে উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানান এবং জাগরণীর মাধ্যমে রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শে সমাজ গড়ার জন্য তাদের প্রতি আহবান জানান। প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, আমি দো‘আ করি তোমাদের কণ্ঠই যেন তোমাদের জান্নাতে যাওয়ার অসীলা হয়। সবশেষে তিনি অতিথিবৃন্দ, ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’, ‘সোনামণি’ ও ‘আল-‘আওন’-এর সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীল ও প্রতিযোগীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফেয আবু সাইফ (কুমিল্লা) ও বিভিন্ন পর্যায়ে জাগরণী পেশ করেন হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ, রাক্বীবুল ইসলাম, মীযানুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল-মামূন, ইয়াকূব আলী, রোকনুয্যামান, কেরামত আলী, ফরীদুল ইসলাম, আলে ইমরান ও আব্দুর রহমান। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক আবু রায়হান ও আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য রাক্বীবুল ইসলাম।
৪. ‘অনলাইন দাওয়াতী কাফেলা’ সমাবেশ : ইজতেমার ১ম দিন সকাল ৯-টায় মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ মাঠে ‘অনলাইন দাওয়াতী কাফেলা’ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুন নূর-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন হাবীবুর রহমান (ছাত্র, মারকায, সূরা ক্বা-ফ ৪৩-৪৫) ও জাগরণী পরিবেশন করেন আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (সদস্য, আল-হেরা, একটি জান্নাত আমার কাম্য...)। অতঃপর উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন ‘অনলাইন দাওয়াতী কাফেলা’ সমাবেশের সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুন নূর।
অতঃপর প্রথম অধিবেশনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ‘যুবসংঘ’-এর বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন- ‘যুবসংঘ’-এর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মুছাদ্দিক, বরিশাল যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি কায়েদ মাহমূদ ইমরান, দিনাজপুর-পশ্চিমের উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ আল-মাহমূদ, হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ড-এর সহ-পরিদর্শক মুহাম্মাদ ফেরদাউস, ঢাকা-উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইলিয়াস, দিনাজপুর-পূর্ব যেলার সভাপতি রায়হানুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রঊফ, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ চট্টগ্রাম যেলার সাধারণ সম্পাদক আরজু হোসাইন ছাববীর, জয়পুরহাট যেলার সভাপতি নাজমুল হক ও ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মফীযুল ইসলাম প্রমুখ।
দ্বিতীয় অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য প্রদান করেন- ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইহসান ইলাহী যহীর, আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য কাযী হারূণুর রশীদ, আত-তাহরীক টিভির প্রোগ্রাম পরিচালক শরীফুল ইসলাম, ‘আন্দোলন’ সঊদী আরব শাখার সহ-সভাপতি হাফেয আখতার, আত-তাহরীক টিভির পরিচালক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ‘যুবসংঘ’ রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রঊফ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মুছাদ্দিক।
৫. ‘যুবসংঘে’র কর্মী মতবিনিময় সভা : তাবলীগী ইজতেমার ২য় দিন বাদ আছর মারকাযের শিক্ষক মিলনায়তনে ‘যুবসংঘে’র কর্মী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন মারকাযের ছাত্র ফরীদুল ইসলাম। জাগরণী পরিবেশন করেন মারকাযের ছাত্র আব্দুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন যেলার কর্মীগণ সাংগঠনিক মতামত ও কাজের অগ্রগতি বিষয়ক মতামত ব্যক্ত করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব পরামর্শগুলিকে পর্যালোচনা করে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইহসান ইলাহী যহীর। উক্ত অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান। অতঃপর মাগরিবের পূর্বে বৈঠক ভঙ্গের দো‘আর মাধ্যমে কর্মী মতবিনিময় সভার পরিসমাপ্তি ঘটে।
৬. ‘যুবসংঘে’র সাবেক কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল পুনর্মিলনী বৈঠক :
ইজতেমার ২য় দিন বাদ মাগরিব বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল পুনর্মিলনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে কুরআন তেলাওয়াত করেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইহসান ইলাহী যহীর। জাগরণী উপস্থাপন করেন সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আজমাল। স্বাগত ভাষণ পেশ করেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ড. মুখতারুল ইসলাম। বিভিন্ন সেশনে দায়িত্ব পালনকারী ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলগণের পারস্পরিক পরিচিতির পর সাংগঠনিক অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা উপস্থাপিত হয়। ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব উক্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।
৭. বায়‘আত অনুষ্ঠান : ইজতেমার দু’দিনে ১৮টি যেলা থেকে ৫২ জন ‘সাধারণ পরিষদ সদস্য’ এবং ১৪টি যেলা থেকে ১৮ জন ‘কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য’ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাশের পর বায়‘আত গ্রহণ করেন। এছাড়া ইজতেমার ২য় দিন রাতে আমীরে জামা‘আতের ভাষণের পর ‘আম বায়‘আত অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে কেবল ইচ্ছুক ভাই-বোনেরা সরাসরি এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।