গত নভেম্বর ২০২১-এর নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মুসলিম পরিচালনাধীন শহর হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। এর সিটি কাউন্সিলের নির্বাচিত সব সদস্য মুসলিম। এমনকি প্রথমবারের মতো এবার সিটি মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ইয়েমেনী বংশোদ্ভূত আমেরিকান চিকিৎসক ডা. আমীর গালিব (৪২)। অনেক বছর ধরে নানা বৈষম্যের সম্মুখীন হয়ে সেখানকার মুসলিমরা এখন শহরের মূল শক্তিতে পরিণত হয়েছে। শহরের সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে মুসলিমদের মধ্যে এখন ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। শহরের পথ ধরে চললে দোকানের সাইনবোর্ড সমূহে আরবী ও বাংলা লেখা দেখা যায়। এখানকার অধিকাংশ মুসলিম গুরুত্বের সঙ্গে নিজ ধর্ম পালন করে।  সিটি মেয়র ডা. গালিব বলেন, আমি গর্ব বোধ করি এবং আমি একটি বড় দায়িত্ব অনুভব করছি। ইসলাম আমাদের ভালো কাজ করা, মন্দ কাজ এড়িয়ে চলা, অন্যদের সম্মান করা এবং সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করতে উৎসাহিত করে।

পিউ রিসার্চ সেন্টার থিংক ট্যাঙ্ক এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৩.৮৫ মিলিয়ন মুসলিম বসবাস করছে, যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ১.১ ভাগ। ২০৪০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমরা খ্রিস্টানদের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠীতে পরিণত হবে। উল্লেখ্য যে, এখানকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের  অন্যতম  সেরা   বিশ্ববিদ্যালয়   হিসাবে   খ্যাত।  এছাড়াশহরটির ব্যাপারে ‘দুই বর্গ মাইলের বিশ্ব’ বলে একটি প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে। কেননা পাঁচ বর্গ কিলোমিটারের এ শহরে ৩০টির বেশী ভাষার ২৮ হাযার মানুষ বসবাস করেন।

[আমরা ডা. আমীর ও হ্যামট্রামক শহরের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। এর মধ্যে আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর একটি হাদীছের ভবিষ্যদ্বাণী খুঁজে পাই। যেখানে তিনি বলেছেন, ভূপৃষ্ঠে এমন কোন মাটির ঘর বা পশমের ঘর (তাঁবু) বাকী থাকবে না, যেখানে আল্লাহ ইসলামের বাণী পৌঁছে দিবেন না... (আহমাদ, হাকেম, মিশকাত হা/৪২; ছহীহাহ হা/৩; (স.স.)]।






আরও
আরও
.