বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীর সঙ্গে নীচের সারির ৫০ শতাংশ মানুষের সম্পদের ব্যবধান আরও বেড়েছে। গত এক দশকে এই ১ শতাংশ ধনী আরও ৪২ ট্রিলিয়ন বা ৪২ লাখ কোটি ডলার সম্পদের মালিক হয়েছেন। নীচের সারির ৫০ শতাংশ মানুষের সম্পদ আহরণের চেয়ে তা ৫০ শতাংশ বেশী।
সম্প্রতি ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সম্মেলনের আগে আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে। মূলত অতিধনীদের ওপর কর বৃদ্ধির বিষয়ে জি-২০ ভুক্ত দেশের অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররা মিলিত হয়েছিলেন। দুই দিনের বৈঠক শেষে মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, অতিধনীদের ওপর কর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করা হবে।
অসমতা চরম পর্যায়ে চলে গেছে বলে অক্সফাম মনে করলেও দেশে দেশে দেখা যায়, অতিধনী ও ধনীদের ওপর কর যেন কমছেই। সারা বিশ্বের শতকোটিপতিরা খুব কম হারে কর দেন। অক্সফাম বলছে, এই ধনীরা সম্পদের মাত্র ০.৫ শতাংশ কর দেন। ৪০ বছর ধরে এই ধনীদের সম্পদ বেড়েছে বছরে গড়ে ৭.১ শতাংশ হারে। এ বাস্তবতায় অক্সফাম মনে করছে, অতি বৈষম্য কমাতে এই ধনীদের নিট সম্পদ কর হওয়া উচিত ৮ শতাংশ। বিশ্বের ৮০ শতাংশ শতকোটিপতির বসবাস জি-২০ভুক্ত দেশগুলোয়। এদিকে চলতি বছরের শুরুতে দাভোস সম্মেলনের সময় আরেক প্রতিবেদনে অক্সফাম বলে, বিশ্বের অতিধনীদের সম্পদের পরিমাণ বাড়ছেই। ২০২০ সালের পর বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনীর সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণেরও অধিক বেড়ে প্রায় ৯০ হাযার কোটি ডলারে উঠেছে। ঠিক এই সময়ে বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ আগের চেয়ে আরও গরীব হয়েছে।