জার্মানী
তাদের শেষ ছয়টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মধ্যে তিনটিই বন্ধ করে
দিয়েছে। শুধু তাই নয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানীর দিকে ঝুঁকতে থাকা দেশটি অবশেষে
পারমাণবিক শক্তি থেকে পুরোপুরি সরে আসারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক প্রকল্পে দুর্ঘটনার পর তাদের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের গতি বেড়ে যায়। ভূমিকম্প ও এরপর হওয়া সুনামিতে জাপানের উপকূলীয় ঐ প্রকল্পটি ধ্বংস হয়ে যায়। ১৯৮৬ সালে রাশিয়ার চেরনোবিলের পর জাপানের ফুকুশিমার দুর্ঘটনা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক পারমাণবিক বিপর্যয়।
জানা গেছে ৩৫ বছর যাবৎ চলমান থাকার পর গত ৩১শে ডিসেম্বর রাতে ব্রোকডর্ফ, গোনডা ও গুনথ্রামিংএন সি এর পারমাণবিক চুল্লিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেষ তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ইজা ২, এমসলান্ড ও নেখাভেস্টটাইম ২- ২০২২ সালের শেষে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
[অথচ বাংলাদেশ সরকার বিশেষজ্ঞদের শত আপত্তি সত্ত্বেও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অবকাঠামোগত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যে রাশিয়া নিজের দেশের চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনা এড়াতে পারেনি, তাদেরকেই দেওয়া হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব। ভবিষ্যতে যদি এখানে কোন দুর্ঘটনা ঘটে, তাহ’লে বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতির এই ছোট্ট দেশটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে যেতে পারে। তাই এটি অনতিবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পুনরায় আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি (স.স.)।]