বাড়িতে ঘেরা বেড়া দেওয়ার কাজে
বেশ জনপ্রিয় ঔষুধি গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ বাসক গাছ। এক ধরনের দুর্গন্ধের জন্য
এর পাতায় গবাদিপশু মুখ দেয় না। অথচ সর্দি-কাশি সারাতে সবুজ বাসক পাতা রস
দারুণ উপকারী। এর ঔষুধি গুণ এত বেশী যে, এই পাতা দিয়ে তৈরী হচ্ছে কাশির
সিরাপ। বাসক পাতার নির্যাস, রস বা সিরাপ শ্লেষ্মা তরল করে নির্গমে সুবিধা
করে বলে সর্দি-কাশি এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ নিরাময়ে বেশ উপকারী।
সাতক্ষীরা অঞ্চলে বাসক গাছ জন্মায় প্রচুর পরিমাণে। ঘেরা বেড়ায় ব্যবহার করা এই পাতা ছিঁড়লে গাছ মরে যায় না। আবারো নতুন নতুন পাতা গজায়। সারা বছর চলে নতুন পাতা গজানো। ডাল কেটে মাটিতে পুঁতে দিলে হয়ে ওঠে নতুন গাছ। আর্দ্র ও সমতল ভূমিতে এই উদ্ভিদ জন্মায়। বিকট গন্ধের কারণে এতে ছত্রাক জন্মায় না। এমনকি পোকামাকড়ও ধরে না।
শুকনো বাসক পাতা এখন কিনে নিচ্ছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড সহ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানী। জার্মান প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে বাসক পাতা কাশির সিরাপ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে বাসক উদ্ভিদের চাষ শুরু হয়েছে।
গ্রামবাসীরা এখন নিজ নিজ বাড়ির চারপাশে বাসক গাছ লাগাচ্ছেন। দরিদ্র নারীরা প্রতিদিনই সংগ্রহ করছেন বাসক পাতা। পরিচ্ছন্নভাবে রোদে শুকিয়ে তা বিক্রি করছেন ওষুধ কোম্পানির কাছে। এতে তারা অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করছেন। ফলে বাসক পাতা যেমন আনতে পারে অর্থনৈতিক বিপ্লব, তেমনি বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পাতা দেশের ওষুধ শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।