ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ ২০শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ময়মনসিংহ যেলার উদ্যোগে ফুলবাড়িয়া থানাধীন জোরবাড়িয়া কোনাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ময়দানে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, আমরা অধিকাংশ মুসলমান জীবনের কিছু কিছু শাখায় আল্লাহর বিধান মেনে চলি। কিন্তু অধিকাংশ শাখায় মানি না। এমতাবস্থায় কিভাবে আমরা জান্নাত আশা করতে পারি? তিনি বলেন, সার্বিক জীবনে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সনিষ্ঠ অনুশীলন করাই হ’ল একজন প্রকৃত আহলেহাদীছের নিদর্শন। তিনি বলেন, ধানীখোলা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি এক সময় আহলেহাদীছ আন্দোলনের ঘাঁটি এলাকা ছিল। গাযী আশেকুল্লাহ ও তাঁর সাথীরা এ অঞ্চল আবাদ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সাংগঠনিক প্রচেষ্টার অভাবে এলাকা পুনরায় সামাজিক কুসংস্কারে ছেয়ে গেছে। আহলেহাদীছ ভাইয়েরা আদর্শ ভুলে নানা মতাদর্শের অনুসারী হয়েছেন। আমরা সবাইকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের ফেলে আসা সরল পথে পুনরায় জামা‘আতবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি এবং নিরন্তর সাংগঠনিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের গুরু দায়িত্ব পালনের আহবান জানাচ্ছি।
জোরবাড়িয়া কোনাপাড়া দারুস সুন্নাহ রহমানিয়া মাদরাসার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল হামীদ মল্লিক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতার, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এহসান এলাহী যহীর, ‘সোনামণি’ কেন্দ্রীয় পরিচালক আব্দুল হালীম, নারায়ণগঞ্জ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা শফীকুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-উত্তর যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি আব্দুল কাদের, সেক্রেটারী আবুল কালাম আযাদ, ময়মনসিংহ-দক্ষিণ যেলা সভাপতি মুহাম্মাদ আলী ও উত্তর যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি যুলহাসুদ্দীন প্রমুখ। ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন ‘আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠী’র কেন্দ্রীয় সদস্য মুহাম্মাদ মীযানুর রহমান (জয়পুরহাট)।
উল্লেখ্য যে, আগের দিন ১৯শে ডিসেম্বর’১৬ পূর্ব ঘোষিত জামালপুর-উত্তর যেলা সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে ইসলামপুর উপযেলাধীন চিনাডুলী ফাযিল মাদরাসা ময়দানে সম্মেলন স্থলে পৌঁছে যাওয়ার পরেও পুলিশ প্রশাসনের বাধার মুখে আমীরে জামা‘আত ও তাঁর সফরসঙ্গীগণ রাত সাড়ে ১০-টার দিকে ময়মনসিংহ শহরে ফিরে আসতে বাধ্য হন। অতঃপর সেখানে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর ড. এ.কিউ.এম. বযলুর রশীদের বাসায় রাত্রি যাপন করেন। যথারীতি লিখিত পূর্বানুমতি থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আরোপে সবাই বিস্মিত ও দুঃখিত হন। যার সাক্ষাৎ ফলাফল দেখা গেল মাত্র এক সপ্তাহ পরেই যেলা প্রশাসকের সাথে বেয়াদবী করার অপরাধে উক্ত এস.পি-র স্ট্যান্ড রিলিজ অর্ডারের মাধ্যমে। এভাবেই আল্লাহ অহংকারীদের শাস্তি দিয়ে থাকেন।