আলীগড়
মুসলিম ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, প্রখ্যাত
সীরাত গবেষক প্রফেসর ড. ইয়াসীন মাযহার ছিদ্দীকী (৭৬) গত ১৫ই সেপ্টেম্বর
মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু ছাত্র, গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। আলীগড় শহরে তাঁর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রফেসর ছিদ্দীকী ১৯৪৪ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে দারুল উলূম নাদওয়াতুল ওলামা, লাক্ষ্ণৌ থেকে ‘আলেম’ এবং ১৯৬০ সালে লাক্ষেণŠ ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ফাযেলে আদব’ ডিগ্রী অর্জন করেন। অতঃপর দিল্লীর জামে‘আ মিল্লিয়া ইসলামিয়াহ থেকে বি.এ (অনার্স) ও এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি আলীগড় ইউনিভার্সিটি থেকে এম.ফিল এবং ১৯৭৫ সালে সেখান থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে রীডার (সহযোগী অধ্যাপক) পদে যোগদান করেন। ১৯৯১ সালে তিনি প্রফেসর পদে উন্নীত হন। তিনি বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি আলীগড় ইউনিভার্সিটির অধিভুক্ত ‘শাহ অলিউল্লাহ রিসার্চ সেল’-এর পরিচালক নিযুক্ত হন।
দেশে ও বিদেশে তিনি সীরাত গবেষক হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সীরাত বিষয়ে তাঁর পাঁচ শতাধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা ‘নুকূশ’-এ সীরাত বিষয়ে তাঁর বহু প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি শাহ অলিউল্লাহ এ্যাওয়ার্ড, আন্তর্জাতিক নুকূশ এ্যাওয়ার্ড, সীরাতে রাসূল এ্যাওয়ার্ড, সীরাত নেগারী এ্যাওয়ার্ড প্রভৃতি পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, আহদে নববী কা নেযামে হুকুমত, খিলাফাতে উমাবী খিলাফতে রাশেদা কে পাস মানযার মেঁ, বনূ হাশেম আওর বনূ উমাইয়া কে মু‘আশারাতী তা‘আল্লুক্বাত, শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী : শাখছিয়াত ওয়া হিকমত কা এক তা‘আরুফ, শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী কী কুরআনী খিদমত, নবী আকরাম (ছাঃ) আওর খাওয়াতীন : এক সামাজী মুতালা‘আ, রাসূলে আকরাম (ছাঃ) কী রেযাঈ মায়েঁ, মা‘আশে নববী, গাযওয়াতে নববী কী ইক্বতেছাদী জিহাত, আহদে নববী মেঁ তানযীমে রিয়াসাত ওয়া হুকুমত, মাক্কী আহদ মেঁ ইসলামী আহকাম কা ইরতিকা, কুরাইশ ওয়া ছাকীফ কে তা‘আল্লুক্বাত, মাছাদিরে সীরাতুন্নবী (ছাঃ), তারীখে ইসলাম প্রভৃতি।