২০০১
সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার টুইন টাওয়ারে
নযীরবিহীন সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে কথিত সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ের নামে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত যত মার্কিন সেনা
যুদ্ধের কারণে মারা গেছে তার চেয়ে চারগুণ সেনা মারা গেছে আত্মহত্যার
মাধ্যমে। সম্প্রতি ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’ শিরোনামে যুক্তরাষ্ট্রের এক
নতুন গবেষণা রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০
হাযার ১৭৭ জন মার্কিন নিয়মিত এবং যুদ্ধ-ফেরত সেনা আত্মহত্যা করেছে। যেখানে
যুদ্ধের কারণে মারা গেছে ৭ হাযার ৫৭ জন সেনা।
এই রিপোর্টের সত্যতা স্বীকার করে মার্কিন সেনা দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। সময়ের পরিক্রমায় যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। সমাজে যা ঘটছে তা থেকে আমাদের সেনা সদস্যরা মুক্ত নয়।
[সর্বোচ্চ সুবিধা পেয়েও হাতাশাগ্রস্ত কেন, এর কোন জবাব পেণ্টাগন দেয়নি। অথচ এর জবাব হ’ল এই যে, কোন মানুষই শুধুমাত্র দুনিয়ায় কিছু পাওয়ার স্বার্থে তার মূল্যবান জীবন বিলিয়ে দিতে চায় না, যতক্ষণ না সে তার মধ্যে মানবিক ও পরকালীন স্বার্থ দেখতে পায়। অথচ মার্কিন সেনারা নিজেদেরকে বিশ্বব্যাপী আগ্রাসী ও অত্যাচারী হিসাবে দেখেছে। ফলে তাদের মধ্যে কেবলই হতাশা ভর করেছে। যা থেকে মুক্তি লাভের জন্য তারা অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। অতএব মার্কিন নেতাদের উচিৎ তাদের আগ্রাসী নীতি পরিহার করা (স.স.)]।