জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ তথ্য দিয়েছে। জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম ও পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের সে দেশ থেকে স্থায়ীভাবে বিতাড়নের চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তাদের গ্রাম ও ফসলের জমি এমনভাবে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে যাতে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীরা আর কোন দিন সেখানে ফিরতে না পারে এবং রাখাইনে যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বলে একটি জনগোষ্ঠী ছিল, তার সমস্ত চিহ্ন মুছে যায়। 

জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতর যে কেবল মিয়ানমার সরকারের এই দাবীকে অসত্য বলছে শুধু তাই নই, তারা বলেছে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যেভাবে এই পুরো অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে, তাতে তাদের মনে হয়েছে, এটি ছিল একেবারে পূর্ব পরিকল্পিত। এর পক্ষে বেশ কিছু প্রমাণও তারা হাযির করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল ২৫শে আগস্ট। কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই সেখানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছিল। আগে থেকেই ১৫ হ’তে ২৫ বছর বয়সী রোহিঙ্গা পুরুষদের পাইকারী হারে আটক করা হচ্ছিল। সেখানে রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয়ভাবে নেতৃস্থানীয় তাদের আটক করা হচ্ছিল। পুরো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নানাভাবে নির্যাতন, হয়রানী, ভয়-ভীতি দেখানোর মাধ্যমে একটা চরম আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী করা হয়েছিল।

আর ২৫শে আগস্টে আরসার কথিত হামলার পর সেনাবাহিনী তাদের ভাষায় যে ক্লিয়ারেন্স অপারেশন বা শুদ্ধি অভিযান শুরু করে, সেটি এত সুসংগঠিত, সমন্বিত এবং ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হয়েছে যে সেটি দেখেও জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের মনে হয়েছে এটি ছিল একেবারেই পূর্ব পরিকল্পিত।

আর যেভাবে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো ধ্বংস করা হয়েছে, তাতে মনে হয়নি যে, কোন অভিযান পরিচালনার সময় সংঘাতের কারণে সেগুলি ধ্বংস হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগীরা একেবারে পরিকল্পনা করেই গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দিয়েছে ও রোহিঙ্গাদের সব সম্পদ ধ্বংস করেছে। সেখানে তাদের গবাদি পশু, ফসলের ক্ষেত, এমনকি বসত ভিটায় যেসব গাছপালা ছিল সেগুলো পর্যন্ত ধ্বংস করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, রোহিঙ্গারা যদি ফিরে আসে, সেখানে যেন তারা আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে না পারে। যেন তারা তাদের নিজেদের জায়গাকে পর্যন্ত আর চিনতে না পারে।

[আল্লাহ তুমি যালেমদের ধ্বংস কর এবং মযলূমদের সম্মানিত কর (স.স.)]







এখনো ফিলিস্তীনীদের সেবা করে চলেছেন যে ইস্রাঈলী নারী
২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে না করলে শাস্তি
বিশ্বে ঘরছাড়া মানুষ ৬ কোটির বেশী
সংসদে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট পাস (গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বাজেট)
ওয়ায মাহফিলে রেফারেন্স বাধ্যতামূলক চেয়ে আইনী নোটিশ
৬টি হ্যারিকেনসহ ১৯টি ঝড় আটলান্টিকে
দেশে বিদ্যুত উৎপাদনে নতুন রেকর্ড ১১ হাযার ৩০৬ মেগাওয়াট
ই-কমার্সের নামে ডিজিটাল প্রতারণা (হাতিয়ে নিয়েছে ২২ লাখ গ্রাহকের ২৬৮ কোটি টাকা)
রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের ভয়াবহ তথ্য
আদায় অযোগ্য খেলাপি ঋণ ১ লাখ ২৮ হাযার কোটি টাকা
দেশীয় শিপইয়ার্ডে যুদ্ধ জাহায নির্মাণে নতুন মাইলফলক
আসামে মুসলমানদের উপর চাপানো হ’ল শর্ত সর্বোচ্চ দুই সন্তান, বহুবিবাহে ও সন্তান মাদ্রাসায় পড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা
আরও
আরও
.