দেশের একজন প্রথিতযশা চিন্তাবিদ, দার্শনিক ও লেখক প্রফেসর ড. সলীমুল্লাহ খান বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণ করেই পৃথিবীতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে। গত ১২ই জুন জার্মানীর প্রধান বেতার সার্ভিস ডয়চে ভেলে-র এক টকশোতে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষাকে শুধু অনুসরণ নয়; পাশ্চাত্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা শিক্ষা পদ্ধতি নকল করে শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করেছে। ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও আরবদের মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার অনুসরণ করে গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, এখন যে পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ডিগ্রী দেওয়া হয়, রীতি-নীতি সবগুলো আরবদের কাছ থেকে ধার করা। তিনি বলেন, অনেকে মাদ্রাসা শিক্ষার দোষ দেন, তুচ্ছজ্ঞান করেন, মাদ্রাসা শিক্ষাকে অধঃপতনের কারণ বলেন। কিন্তু তাদের উচিৎ মাদ্রাসার দোষ ধরার আগে নিজেদের দিকে তাকানো। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন প্রথমে আরবী ও ফার্সী সহ তিনটি বিভাগ চালু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেগুলোর কিছু কিছু নাম বদল করে সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মাদ্রাসার চেয়ে তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান আরো নীচে নেমে গেছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈতিক শিক্ষার অর্জন কি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১০০ বছর আগে। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় একশটি ভালো বই বের করতে পারেনি। গবেষণার কথা নাই বা বললাম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বিসিএসের চাকরী পাওয়া যায়। সেজন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব বেশী বলা হচ্ছে। কিন্তু এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার মান অনেক উন্নত।

তিনি বলেন, কেউ বলেন পৃথিবীতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থা ৮শ’ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ফ্রান্সের প্যারিসে। কেউ বলেন, তারও দুশ’ বছর আগে ইতালীতে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ঐ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থা কি হঠাৎ করে শুরু হয়েছিল? বাস্তবতা হ’ল তারও বহু আগে আরব মুসলিমদের মাধ্যমে মাদ্রাসা শিক্ষা চালু হয়েছে। তারই পথ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ সৃষ্টি হয়েছে।

দেশে একমুখী শিক্ষা চালু করার বিষয়ে এই শিক্ষাবিদ বলেন, এখন আমাদের দেশে ২৫ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা চালু আছে। একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হ’লে সব ধরনের বিদেশী শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে। কিন্ডারগার্টেনগুলির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালুর কথা বলা হচ্ছে, আবার তিন বছরের বাচ্চাদের জন্য বৃটিশ শিক্ষা পদ্ধতিও চালু রাখা হয়েছে। বাংলার বদলে চার লাখ শিশু শিক্ষার্থীকে শুরুতেই ইংরেজী শেখানো হচ্ছে। এতে তারা না শিখছে বাংলা না শিখছে ইংরেজী।

[উপরোক্ত বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সর্বদা ভিন্ন মতের লোকদের দ্বারা পরিচালিত। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও সর্বদা গণবিরোধী শিক্ষা ব্যবস্থাই এদেশে চলছে। ২০১৩ সাল থেকে ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী ‘বিবর্তনবাদ’কে শিক্ষার সিলেবাসভুক্ত করা হয়েছে এবং মানুষকে বানর বা বানর সদৃশ পশুর বংশধর বলে শিখানো হচ্ছে। যার ফলে আজকে কিশোর গ্যাং সহ নানা সামাজিক সমস্যার সৃ©র্ষ্ট হয়েছে। ফলে দ্রুত এদেশের সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। অতএব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিবর্তনবাদকে দ্রুত সিলেবাস থেকে বাতিল করুন এবং শিক্ষার্থীদেরকে ইসলামী নৈতিকতার শিক্ষা দিন (স.স.)]

প্রফেসর ড. সলীমুল্লাহ খান







আরও
আরও
.