যুক্তরাষ্ট্রের একজন লবস্টার চিংড়ী শিকারীকে গিলে ফেলেছিল বিশাল আকৃতির একটি হ্যাম্পব্যাক তিমি। তবে তিমির পেটে গিয়েও সৌভাগ্যক্রমে জীবন্ত ফেরেন তিনি। মাইকেল প্যাকার্ড নামের ঐ ব্যক্তি ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড ছিলেন মাছটির পেটে। মাছটি নিজের লালার সঙ্গে বের করে দেয় মাইকেলকে। আর এভাবেই বিশালাকৃতির প্রাণীটির পেটে গিয়েও শেষ পর্যন্ত বেঁচে যান প্যাকার্ড। আধা মিনিটের বেশি সময় প্রাণীটির পেটে থাকলেও শুধুমাত্র গোড়ালিতে হাল্কা চোট পেয়েছেন তিনি। ৪০ বছর ধরে কেপ কডে ডুবুরির কাজ করেন মাইকেল। পাশাপাশি তিনি লবস্টার বা বড় আকারের চিংড়ীও শিকার করেন।

মাইকেল জানান, তিনি ও তার সহযোগী নৌকায় করে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের হেরিং কোভ সৈকতে যান। সেখানেই স্কুবা গিয়ার নিয়ে নৌকা থেকে পানিতে ঝাঁপ দেন। ঝাঁপ দিতেই বিশাল একটা ধাক্কা অনুভব করেন। এরপরই সব অন্ধকার হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারেন যে, তিনি তিমির মুখের ভেতরে চলে গিয়েছেন। বেঁচে থাকার আশা তখন প্রায় শেষ। ঠিক সেই সময় বাতাসে ছুঁড়ে ফেলা হয় তাকে। এরপর তার সহযোগী তাকে নৌকায় তুলে নেন। পুরো ঘটনাটি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেন না বলে জানান মাইকেল।

হ্যাম্পব্যাক তিমি ৫০ ফিট পর্যন্ত লম্বা হ’তে পারে এবং একেকটির ওযন হ’তে পারে প্রায় ৩৬ টন। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে এ রকম তিমির সংখ্যা প্রায় ৬০ হাযার। এরা সাধারণত মুখ যতটা সম্ভব হা করে মাছ বা অন্য খাবার খেয়ে থাকে।

[এর দ্বারা যেন কেউ ইউনূস (আঃ)-এর মাছের পেটে যাওয়া ও বেঁচে যাওয়াকে সাধারণ ঘটনা বলে মন্তব্য না করেন। কারণ কুরআনে বর্ণিত উক্ত ঘটনার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। এতে মানুষের শিক্ষণীয় এই যে, তার চাইতে অনেক বড় বড় সৃষ্টজীব আল্লাহর রয়েছে, যা তারা জানেনা। অতএব তাদের উচিৎ আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া (স.স.)]।






আরও
আরও
.